বাহুবলে বিশেষ অভিযানে ভারতীয় শাড়িসহ গ্রেপ্তার ৩
হবিগঞ্জের বাহুবলে রাত্রিকালীন বিশেষ অভিযানে ভারতীয় জর্জেট শাড়ির বড় একটি চালান জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাহুবল মডেল থানা পুলিশের এ অভিযান পরিচালিত হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইব্রাহিম আকন্দ ও সঙ্গীয় ফোর্স মহাসড়কে রাত্রিকালীন টহল দিচ্ছিলেন। টহলের এক পর্যায়ে ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ইসলামপুর (বাগানবাড়ী) এলাকায় স্টার ব্রিক ফিল্ডের সামনে দিয়ে একটি ডিআই পিকআপ দ্রুতগামী অবস্থায় যাচ্ছিল। সন্দেহ হলে পুলিশ গাড়িটি থামায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির পেছন থেকে ৬টি সাদা প্লাস্টিক বস্তা উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো খুলে দেখা যায় মোট ২৫৫ পিস ভারতীয় বিভিন্ন রঙের জর্জেট শাড়ি লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপে থাকা তিনজনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন-মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কলতা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে মো. মান্নান আহম্মেদ (৪৮), সিলেটের খাদিমনগর নোয়াগাঁও এলাকার মৃত তবারক আলীর ছেলে নূর উদ্দিন (৩২), একই এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো. আব্দুর রউফ ওরফে রুবেল (৩২)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি- ভারতীয় এসব শাড়ি চোরাই পথে এনে সিলেট অঞ্চলে সরবরাহ বা পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা হচ্ছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, বাহুবলসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চোরাচালান ও অবৈধ পণ্য পরিবহন রোধে পুলিশ নিয়মিতভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। ভোররাতের এ সফল অভিযানে তিনজনকে আটক ও ভারতীয় শাড়ির চালান জব্দ করা হয়েছে। আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পুলিশ জানিয়েছে-জব্দ করা শাড়িগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য কয়েক লাখ টাকা। এসব শাড়ি ভারত সীমান্ত থেকে বিভিন্ন চোরাই রুট ব্যবহার করে এনে সিলেটে পাইকারি বাজারে সরবরাহ করা হয় বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এমন অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা মনে করেন, সড়কে নিয়মিত নজরদারি বাড়লে চোরাচালানের পরিমাণ আরও কমে আসবে এবং আইনশৃঙ্খলা আরও সুদৃঢ় হবে।








