বাঙলা ভুতের ভবিষ্যত
দৈনিক সিলেট ডট কম
প্রকৌসলি ভানু ভাস্কর: একটি নিশ্চিত ভবিতব্য
উপরের নিশ্চিত শব্দটি – অর্থাত এই বাক্যাঙশটির আখেরের দুটি শব্দই এই অনুচ্ছেদের নিশ্চয়তাকে দুর্বল করে দিয়েছে। তবুও যা বলার তা খোলাসা করেই বলা উচিত। বাঙলা ভাষায় ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান নামে যা আছে, তাকে ঝেটিয়ে পেদিয়ে অনেক আগেই বিদায় করা প্রয়োজন ছিলো। প্রথা যারা আকড়ে ধরে বসে থাকতে ভালো পান, অর্থাত পেয়ার করেন তারা বলবেন, ‘কেনো? কি দরকার!’ আমার মতন যারা এই সব পেয়ার-টেয়ার কেয়ার করেনা, তারা বলে, বাঙলা উচ্চারনে স, শ এবঙ ষ এর কোনও তফাত নেই, যেমন নেই ণ এবঙ ন এর উচ্চারনে। অতএব জানুন যে, একদিন কোনও একদিন শ এবঙ ষ এর সঙ্গে ণ এমন কি য, চন্দ্রবিন্দু অথবা ঙ কিম্বা অনুস্বারের এর জায়গা হবে না বাঙলায়, হওয়া উচিত নয়, প্রয়োজন তো নয়ই। একইভাবে ঈ এবঙ ঊ এর সঙ্গে এদের কার-রুপকেও বিদায় করতে হবে। বাঙলা ভাষা সঙস্কৃত ভাষা নয়, সঙস্কৃতজাতও নয়, তাহলে এর বেকরন কেন সঙস্কৃত ভাষার তাবেদারি করবে?
হক কথা।
অবশ্য এ সিকার করতে এতটুকুও আপত্তি নেই যে, সঙস্কৃতের কাছে বাঙলা বেশ খানিকটা ঋনি, কিন্তু এইভাবে শতাব্দির পরে শতাব্দি ধরে ঋন পরিশোধ করতে করতে বাঙলার সয়ঙসম্পুর্নতা উপেক্ষিত হচ্ছে। এটা আর ভালো ঠেকছে না। তাই একটা ঝরঝরে বাঙলা বানানরিতি আমাদের চাই। একদিনে তা কখনওই সম্ভব নয় বলেই এই অনুচ্ছেদের দিকে তাকালে মনে হবে, সাধিনতার স্বাদ পেতে আরও অপেক্ষা, আরও কসরতের দরকার। সেটা সামস্টিক হলে কল্যান। শব্দের শুরুতে বাঙলা উচ্চারনে ব-ফলার ভুমিকা কি, কেউ কি বলতে পারেন? ব-ফলাকে আমরা বাঙলাতে কখনও কি আঙরেজি ‘ডব্লিউ’ এর মতন করে উচ্চারন করেছি, না আছে এর কোনও প্রয়োজন? তাহলে এই লেজুড় রেখে দিয়ে ভাষার কি উপকার সাধন হচ্ছে মোটেও বোধগম্য নয়। অতএব একে আসুন ঝেটিয়ে দিই। একটু আগেই উচ্চারন করা সামস্টিক শব্দটির বানানের দিকে তাকালে কেমন জানি ঠেকছে, অভ্যস্ত চোখের শুল এটা। মরি মরি! তবে শুরু করতে হলে এই ঠেকা সহ্য করে নিতে হবে। আর একটা কথা। বাঙলা ভাষায় কথা বলার নামে এক শ্রেনির চন্ডালের উদ্ভব হয়েছে বিসেস করে অভিজাত পাড়া ও মিডিয়া নামধারি কতক কুলাঙ্গার সমাজে। এদের পেদাবে কে? কার এত ক্ষমতা আছে? ক্ষ-এর এত খমতা কেন নেই? তবে মনে মনে খর্ব করি তোদের হে আভিজাত্যের ঠুনকো মোড়কবাজির দলেরা!
পৃথিবির সব বড়ো বড়ো ভাষার মত (যেমন ধরি আঙরেজি – এই আন্তর্জাতিক ভাষা থেকে আরবি, লেটিন, ফরাসি, জর্মন, ইতালি, ইত্যাদি ভাষার শব্দকে বাদ দিলে ভাষাটার অস্তিত্বই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। অন্য ভাষার শব্দ নিয়ে ভাষা তৈরির এই তরিকা কিন্তু মোটেও মন্দ নয়, বরঙ ভাষাকে আরও শক্তিশালি, জিবন্ত ও প্রানবন্ত করে তোলে এই আমদানি রফতানির খেলা।) সঙস্কৃতজাত শব্দ বাঙলাতে এসে বাঙলার শব্দভান্ডারকে শক্তিশালি করেছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু এই কথা বলতে গিয়ে ‘নিঃসন্দেহ’ শব্দ থেকে বিসর্গকেও নরকে পাঠাতে হবে। প্রথাবাদিরা বলবেন পাঠাও দেখি ‘দুঃখ’ থেকে বিসর্গকে কয়েদে? আরে, তাই তো! সেজন্যই আগেই বলেছি যে, শুরুর ঠেকাটা সহ্য করে নিতে হবে। বাঙলায় একদিন পরিবর্তনের এমন ঘটনা ঘটবেই। ঘটাতে হবে। অবশ্য এর সঙ্গে অভিজাত পাড়ার আপদদের মুখ থেকে বাঙলার নামে উন্নাসিকতা, গোজামিল, অজ্ঞতা ও ভাষাকে অবহেলার সাম্রাজ্যবাদি চক্রান্তকে রুখে দেয়া দরকার। কাজটা কঠিন।
অনেকে বলবেন, ভুতপুর্ব অধ্যাপককে যদি ভুতে ধরে, তাহলে কোন ভুত রেখে কাকে ছাড়াবে তোমরা? ভেবে দেখুন, এই লাফাঙ্গা প্রশ্নের মধ্যেই আছে উত্তর। প্রথম ভুত এবঙ দিতিয় ভুতের অর্থ এখানে বুঝতে যদি কারও সমস্যা হয়ে থাকে, তবে তার মানসিক চিকিতসকের সঙ্গে দেখা করা দরকার। শব্দের অর্থ নির্বাচিত হবে (সিম্যানটিকস) বাক্যে শব্দ ব্যবহারের কায়দায়, বানানের বর্তমান বে-কায়দার কাদা ছোড়াছুড়িতে নয়। জেমন, জদি বলি, “দিনের নবি মুস্তাফায়, রাস্তা দিয়ে জে দিনে হাইটে যায়, ফকিরে কয়, হুজুর এই দিনরে কিছু দিন।” এই বাক্যে চারটি স্থানে ‘দিন’ সব্দটি বেবহারের ফলে তার অর্থ বুঝতে কি কারও কস্টো হচ্ছে? আবার জদি বলি, “কাদা খেলে কাদা লাগবে”। এই বাক্যে প্রথম কাদা যে কান্না নয় তা যে কেউ জানে, কান্না খাওয়া যায় না। পরের কাদাতে যে সমস্যা আমরা বোধ করি তা আগের কাদা দিয়ে-ই সমাধান করা যায়। জেমন, কাদা লাগবে এর দুটো অর্থ হয়, কিন্তু প্রথম কাদার মানে যদি হয় পাক (কাদামাটি) পরের কাদাও একই অর্থ হবেনা তা পুরো বাক্য পড়লে বুঝে নেয়া যাবে। সিম্যান্টিকস-এর এটাই হলো গিয়ে মুল কথা। তা ছাড়া একটি বাক্যে একই বানানের সব্দের এই রকম অনেকবার আগমন উদরাময়ের মত ঘন ঘন নয়, বরঙ কালবোশেখির মত মাঝে মাঝে। কিছু বাঙলা সব্দ ও তার বেবহার জানেন এমন কেউ যদি তারপরেও কস্টো সিকার করেন, তবে তার কাছে মাফি মাঙে। দুই নম্বর অনুচ্ছেদে আরও একটি উদাহরন দেয়া হয়েছে।
২।
এসো নিজে করি
‘শব্দ’ শব্দটিকে ‘সব্দ’ লিখে দেখি কেমন দেখায়!!! দেখে মনে হচ্ছে মেনে নিতে সতাব্দি যাবে! হায় আল্লা! তাহলে উপায়? আসলে, অভ্যেস বড়ো সক্তিসালি। তবুও আর রিন না করে নিজের জা আছে তাই দিয়ে চলার চেস্টা করে দেখি। অন্য ভাসার সব্দ নিয়ে নিজের ভাসায় আত্মিকরন করাকে ঠিক রিনের পরজায়ে পড়ে বলে মনে করিনা, কেউ মনে করে না। সুরুতে কিছু সব্দের উপরে লেবোরেটরির কাচি চালিয়ে চোখকে অভ্যস্ত করিয়ে নিতে হবে। বাকি অনেককে দিতে হবে ছাড়। আপাতত। সুরুটা অল্প করেই হোক। নইলে বদ-হজম হতে পারে। কাচি চালাতে গিয়ে নিচের সৈল্যচিকিতসা বাদে রোগি দেখতে কেমন লাগে দেখা জাক।
• বাঙলা উচ্চারনে নাসিক্য বর্নের ব্যবহার যেহেতু অগুরুত্বপুর্ন, তাই এখানে অনুস্বার এবঙ ঙ এর অদলবদলের কাফফারা গোনার প্রয়োজন নেই। জেমন,
(ছিলো জা) (হবে জা)
অংশ অঙশ
কিংবা কিঙবা/কিম্বা
ধ্বংস ধঙস
এবং এবঙ ইত্যাদি।
• হুম, তবে বাঙলা বেকরনে সন্ধি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য সব্দের মুল অর্থাৎ ধাতুবিদ্যা (!) জানা উচিত। এ ভিন্ন এখন বাঙলা ভাসার পরনির্ভরশিলতা কমানোর জন্য এ ভাসার সব্দের নিজস্ব বানানরিতির দিকে মনোযোগ দেয়া দরকার। বাঙলা ভাষার বেকরন বাঙলার মত হওয়া দরকার, সঙস্কৃত ভাসার মত নয়। আবার প্রত্যয় বা বিভক্তি যুক্ত সব্দের সঙস্কৃত ভাসাজাত তামাসাও বন্ধ করা দরকার। যেমন,
রং রঙের,
ঢং ঢঙের ইত্যাদি।
যদি লিখি রঙের, তবে এর মুল সব্দকেও লিখবো রঙ। এটা হওয়া উচিত। না, এটা-ই হওয়া উচিত। বানানের বেলায় কিছু অনুসিদ্ধান্ত দেয়া হলো।
o চন্দ্রবিন্দু পুরোপুরি বাদ
o ণ পুরোপুরি বাদ
o দির্ঘ-ই কার পুরোপুরি বাদ
o দির্ঘ-উ কার বাদ ইত্যাদি।
• য এবঙ য-ফলাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাদ দিয়ে লিখে দেখেছি দেখতে কেমন লাগে। যেমন
রাত্রিযাপন রাত্রিজাপন
প্যাটার্ন পেটার্ন
লক্ষ্য লক্ষ (সব্দটি ব্যবহারের দিক দিয়ে একই সঙ্গে দুইটি অর্থ তৈরি করবেনা বলেই মনে হয়। যেমন, লক্ষ করলাম যে, এক লক্ষ টাকা কলিকালে খুব বেসি কিছু নয়, কিন্তু এতটুকু হাতে পেলেই অনেকে জিবনের লক্ষ ঠিক করে ফেলতে পারে।)
ব্যাপার বেপার ইত্যাদি।
• শ এবঙ ষ-কে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স দিয়ে পরিক্ষা করেছি, যেমন
শতাব্দি সতাব্দি
বৃস্টি বৃস্টি
সৃস্টি সৃস্টি ইত্যাদি।
• ব-ফলাকে কোথাও কোথাও জমিনে নামিয়ে দিয়েছি, মানে কবর। যেমন,
অস্বস্তি অসস্তি/আসোয়াস্তি
সজ্জ্বা সজ্জা
উজ্জ্বল উজ্জল
অতিসত্ত্বর অতিসত্তর ইত্যাদি।
• সব্দের সেসে বিসর্গ একেবারে প্রয়োজনহিন, যেমন, অন্তত। তবে শব্দের ভেতরে কোথাও উপস্থিত হয়ে যদি সঙযুক্ত বর্নের মত উচ্চারিত হয় তবে তার বানানরিতি ঠিক করা দরকার। বাংলাদেশের ধড়িবাজ পন্ডিতেরা (এরা আগে ধড়িবাজ ছিলেন না, কিন্তু জখন টাকা আসতে থাকে পকেটে, জ্ঞান তখন পেছন দরজা দিয়ে পালাতে শুরু করে। তখন এদের নাম হয়ে যায় ধড়িবাজ পন্ডিত।) টক শো করে খান, কিন্তু তাদের এদিকেও মন দিতে হবে। দুঃখ, নিঃস্বার্থ বা নিঃসন্দেহ ইত্যাদি, এই ধরনের সব্দগুলোর বানানরিতি ঠিক করে ফেলতে হবে। তবে ‘অতপর’ শব্দটির উচ্চারনে বাঙলাতে বিসর্গের কোনও ভুমিকা নেই, অতএব একে ‘অতপর’ লেখা উচিত।
৩।
আবার পন্ডিতি
দির্ঘ-ই কার দিয়ে টান দিয়ে বাঙলায় ক’জন কথা বলেন? তাহলে এর প্রয়োজন কি? দিলাম তুলে। এ এখন বিশ্রাম ঘরে। দির্ঘ-উ কারের বেলায়ও ওই একই বাত। ঋ-কে তুলে দেয়া যেতো, কিন্তু ঋ-কার নিয়ে হয়ত আরও কিছু দিন ভাবতে হবে আমাদের। তাই ঋ এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াবে হয়ত। না বেড়ালে তো হলোই। ঐ – এর বেলায়ও একই কথা। তবে মাঝে মাঝে একে সম্মাননা দিতে হচ্ছে। যেমন, ‘ঐকিক/ঐহিক/ঐতিহাসিক’ ইত্যাদি। এদেরকে ‘ওইকিক/ওইহিক/ওইতিহাসিক’ – এভাবে লিখলে চোখের দারুন অসুবিধা হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত। সময় চাই আরও হে প্রিয় বাঙলা ভাষা। তবে চোখ একদিন সয়ে নেবে। ঔ এর বিধান এই একই সুত্র মেনে চলবে আরও কিছুদিন।
‘ইয়ো’ অর্থাত ‘ঞ’ মিয়া ভেগেছে। মিয়া ভাগেনি। এটা কিন্তু প্রপঞ্চ! কেমন করে, তা পাঠকের জ্ঞানগম্মির উপরে ছেড়ে দিলাম এই জাত্রায়।
মুর্ধান্যতে যে ‘স’ উচ্চারন করি আমরা, তার সঙ্গে ‘ঠ’ এর যোগ হলে যে যুক্তবর্ন তৈরি হয়, তাকে পরিশিলিত করতে গিয়ে বিস্তর ধাক্কা সহ্য করতে হচ্ছে, হজম করতে হচ্ছে। কারন, তাকে বাদ দিয়ে দন্ত ‘স’-কে নিয়ে ‘ঠ’-এর মিলন ঘটানো যাচ্ছে না। পেত্থম পেত্থম অবশ্য এই ধাক্কা সহ্য কইরে নিতি হবে। এই বইতে মুর্ধান্য তে যে ‘ন’ উচ্চারন করি, তাকে বিদেয় কইরে দিছি, তাকে বলেছি – ভাই, বহুকাল বাঙলারে সেবা দিলে, এখন একটু বিশ্রাম লও। বিশ্রাম দেবার ইচ্ছে ওই একই অঙ্গ থেকে উচ্চারিত ‘স’ কেও (অর্থাত মুর্ধান্য স)। তালব্য ‘স’ এর ক্ষেত্রেও বাঙলায় আলাদা কোনও উচ্চারন নেই। আমরা সবগুলো ‘স’ এর উচ্চারনই দন্ত ‘স’ এর মত করি। কিন্তু সব বেটারে এহনই ঘেটি ধইরে বিদায় কইরে দিলি যদি সব বেটারা এক সঙ্গে ক্ষেইপে ওঠে? তাই এই সাবধানতা।
বাঙলাতে ‘য’ এর আলাদা উচ্চারন নেই। ‘য’ ও ‘জ’-কে আমরা একই কেতায় উচ্চারন করি। হিন্দিতে ‘যুবরাজ’ শব্দকে ‘ইউবরাজ’ উচ্চারন করে তারা ‘য’ – এর মান রেখেছে। বাঙলায়ও এমন করতে হলে কেউ না কেউ ঠেঙিয়ে সোজা করে দেবে যেমন, ইউবোলিগ বা ইউবোদল ইত্যাদি। আবার একটু আগ বাড়িয়ে যদি কাউকে বলি ‘ইউয়োবতি মহিলা’ আর কপাল নেহাত মন্দ হবার জন্য তিনি যদি ইউয়োবতির ইউয়ো না শোনেন, অর্থাত শুধু বতি শোনেন, তাহলে পুরো বেপারটা জা দাড়াবে (বতি মহিলা), তার জন্য গনহারে পিটুনি, লাথি-সেন্ডেল, থানা-পুলিস হলে যারা এই বানানের কারবার করছেন তারা দায়ি থাকবেন না। এটা আগে ভাগে পিট বাচানোর দায় সিকার। অর্থাত ‘য’ এর সঙস্কৃতজাত উচ্চারনের প্রতি অবিচার যখন করছিই আমরা, তাহলে তাকে রেখেছি কেন? কিন্তু আপাতত একেবারে বাদ দেয়াও কঠিন। কারন বাঙলায় ‘য’-ফলার ব্যবহার প্রচুর। মানে কতা, একে এখনই বিশ্রাম নিতে বলা নিতান্ত অপরাধ। অনুস্বারকে চিরমুক্তি দেবো যখন ভাবছি, তখন মনের মধ্যে মেলা জায়গায় তাকে উঠিয়ে দিয়ে ‘ঙ’ – কে বসিয়ে দেখলাম যে, চোখে খুব ধন্ধ লাগে। তবুও ঙ ই খাসা। পেত্থম পেত্থম এরাম ধন্দ সবারই লাগে, সব কিছুতেই লাগে।
পাতলুন-জুতো-টাই পরা মানুসেরা প্রথমবারের মতন হজের পোসাক পরলে কিছু মুহুর্তের জন্য অসস্তি লাগে। মন্দিরের পুরোত কিঙবা মসজিদের হুজুরকে পাতলুন-টাই-কোট মায় মুন্ডুতে হ্যাট আর একজোড়া বকলেসওয়ালা (আসলে বাকলস হবে) জুতো পরিয়ে হাটিয়ে দিন। কেমন লাগে দেখতে? কিন্তু সয়ে যায়, কালে সবই সয়ে যায়। বাঙলার নিজস্বতাও একদিন এমনি করে সয়ে যাবে।