প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করলো ফুফা
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:ধামরাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে এনে ভাতিজিকে ধর্ষণ করছে আপন ফুপা। রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ফুপার নাম আলমগীর (৫০)। সে একটি প্রাইভেটকারের ড্রাইভার। ভুক্তভোগী ধর্ষিতা সুয়াপুর ইউনিয়নের সুয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত আলমগীর একই ইউনিয়নের ঘোড়াকান্দার হায়দার আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী বলেন, গত বুধবার (২১ আগষ্ট) প্রেমিক নাহিদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার নাম করে ফুপা আলমগীর তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে নাহিদের বাড়ি যাবার কথা বলে বাইরে যেতে চাইলেও ঘরের দরজা বন্ধ করে জোর করে ধর্ষণ করে আমাকে।
অভিযোগকারীর খালা রাবেয়া বেগম বলেন, ঘটনার পর আলমগীর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। দু’দিন পর সে এই ঘটনা তার মাকে জানায়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, এই ঘটনা শোনার পর আমরা চেয়ারম্যান, মেম্বারকে জানাই। তারা মিমাংসার কথা বলেন। আলমগীরকে আটক করা হলেও সুয়াপুর ইউনিয়নের মেম্বার প্রভাত মালো তাকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেম্বার প্রভাত মালো বলেন, ঘটনাটা জানি। দু’জনকেই আমি চিনি। আমরা মিমাংসার কথা বলেছিলাম। তবে তারা চলে যায়। পরে আলমগীরও নিজের বাসায় চলে যায়।
সুয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোরহাব বলেন, ঘটনাটা কয়েকদিন আগে ঘটে। পরে আমার কাছে অভিযোগ জানায়। আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ঘটনা বলে আমরা মিমাংসার কথা বলি। তবে তারা কোন মীমাংসায় যায়নি। আলমগীরকে পুলিশে সোপর্দ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের এখতিয়ার না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ভুক্তভোগী ও তার মা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।