যে কারণে মাদক মুক্ত হয় না লালনের অনুষ্ঠান
দৈনিক সিলেট ডট কম
শামসুল আলম স্বপন: মরমী সাধক লালন শাহ গাজা কিংবা মাদক দ্রব্য সেবন করতেন এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং তিনি গাজা সেবনের বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন তার গানের একটি কলিতে উল্লেখ রয়েছে । তিনি লিখেছিলেন, “ গাজায় দম চড়িয়ে মনা বোম কালি আর বলিস নারে ।” যা লালন একাডেমি কর্তৃপক্ষ খোদায় করে লালন মাজারের প্রবেশ পথে স্থাপন করেছিলেন । অথচ বর্তমানে লালন শাহের এমন কোন শিষ্য-ভক্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা গাজা কিংবা মাদকে আসক্ত নন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারে এবার অনুষ্ঠান গাজা ও মাদক মুক্ত রাখতে বদ্ধ পরিকর। নাশকতা এড়াতে ও মাদকমুক্ত করতে প্রশাসনের ব্যাপক কড়াকড়ি রয়েছে এবার।
এলাকাবাসী বলছে নজরদারি সত্ত্বেও লালন শাহ এর তিরোধান দিবস উপলক্ষে ছেঊড়িয়ার লালনের মাজার সংলগ্ন মাঠে গোপনে বসেছে গাজা বিক্রি ও সেবনের আখড়া । যেখানে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সেখানে লালনের মাজারের মত পবিত্র স্থানে গাজা ও অন্যান্য মাদকের ভয়াবহ ব্যবসা ও সেবন হয় কি ভাবে তা জনগণের প্রশ্ন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে মাজার প্রাঙ্গণে মাদকের প্রতুলতা থাকায় তরূণ, যুবক ও সব বয়সের মাদক সেবীরা এখানে মাদক সেবন ও ব্যবসা করছে অবাধে । তাই গাজার ধুয়ায় ধুসরিত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে লালনের মাঠ।
লালন একাডেমির একজন সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্ত-এ জানান যারা ষ্টেজের সামনে রাত দিন ২৪ ঘন্টা লালন ভক্ত সেজে বসে থাকে মুলত এরাই গাজা ব্যবসায়ী । এরা স্থানীয় কেউ নন। বেশীর ভাগ এরা ঢাকা থেকে আসে । অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ২/৩ দিন আগে এসে জায়গা দখল করে পাটি পেড়ে বসে পড়ে । এদের সাথে লালন একাডেমির কতিপয় অসাধু সদস্য, স্থানীয় কিছু শিল্পী ও কর্মকর্তা -কর্মচারির যোগসাজস আছে। তাদের সহযোগিতায় গাজার পুরিয়া বানিয়ে বিক্রি করে । এখানে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার গাজা ও মাদকদ্রব্য বেচা -কেনা হয় এখানে। গাজা ও মাদক বিক্রির টাকা পর্যায় ক্রমে অনেকেই ভাগ পায় । সাংবাদিক লেবাসধারী কিছু ব্যক্তিও ওই টাকার অংশ পায় যে কারণে মাদক মুক্ত হয় না লালনের অনুষ্ঠান।
শামসুল আলম স্বপন:
সম্পাদক, বিজয় নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম