শান্তিতে ঘুমোতে চাইলে এক্ষুনি জেগে ওঠো
দৈনিক সিলেট ডট কম
উন্মে সুমাইয়া তাজবীন নীলা:
এতো অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকার পরেও আমরা পৃথিবীবাসি তুচ্ছ এক ভাইরাসের কাছে কুপকাত। সামান্য সর্দিকাশি জ্বরে আজ সারা দুনিয়া বিধস্ত। সকল ব্যবস্থা থাকার পরেও বেসামাল অবস্থা। অথচ আমাদের এতো এতো পারমাণবিক শক্তি এতো অস্ত্র, স্বসস্ত্র, গোলাবারুদ, যুদ্ধবিমান। কত কুটনৈতিক বুদ্ধি, আমাদের কত্তো ক্ষমতা কিন্তু আজ আমরা বড় অসহায়। এতোটাই নিরুপায় যে কিছুই করতে পারছিনা। শরীরের আর কোথাও নয় গলা থেকে সমস্যা শুরু হয়ে ফুসফুস পর্যন্ত। এবং তা হাতের সংস্পর্শে ছড়াচ্ছে। তাই আমাদের গলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ গলাবাজি বন্ধ করতে হবে। পাপের হাতকে গোটাতে হবে।
পাপে ভরে যাওয়া দুনিয়াতে আজাব, গজব যখন আসে তখন মুমিন-কমিন ভালো-মন্দ, পাপী-নিষ্পাপী দেখে আসেনা সমান তালে সবার জন্য আসে। আমাদেরকে একটা পিঁপড়ে কামড়ে দিলে আমরা পা দিয়ে পুরো পিঁপড়ের দলকে মলে দেই। যেমনটা আল্লাহ তায়া’লা মুসা (আ) এর প্রশ্নের উত্তরে কে উদাহরণ দিয়েছিলেন। ঠিক তেমনই আল্লাহ অন্যায়কারী, অন্যায়ের মদদদাতা, অন্যায় সহ্য কারী এবং দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দর্শনকারী সকলকেই শাস্তি প্রদান করেন। সীমালঙ্ঘন যখন সীমাহীন হয়ে যায় তখন সৃষ্টিকর্তা সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে তছনছ করে দেন। তাতেও যদি আমাদের চৈতন্য হয়। এটা জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষা।
তাই আসুন এই মহা দুর্যোগ অবসানে আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকে ক্ষমা করে আমাদের সকল ভুলের জন্য আল্লাহ তায়া’লার নিকট কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চাই। আসুন সকলে মিলে বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, অশ্লীলতা, জুলুম, অত্যাচার, হানাহানি, রাহাজানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ সকল প্রকার অন্যায় ভুলে গিয়ে সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর সকল সৃষ্টিকে ভালোবেসে বিশ্ব মানবতায় গড়ে তুলি এক অহিংস পৃথিবী।