করোনায় “পজেটিভ হলেও বি পজেটিভ”
দৈনিক সিলেট ডট কম
মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন: সাহস আর উৎসাহ দিতে ইতিবাচক উপদেশ “বি পজেটিভ”, কিন্তু কোভিট-১৯ এ “পজেটিভ” যে আতঙ্ক ছড়ায় তা অস্বীকার করা যাবেনা।
কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো মনের জোর ও ভালোবাসার শক্তি। কোনো ভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না, মনে জোর রাখতে হবে। আতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়, আর মনের জোর রোগ ঠেকিয়ে রাখার কাজটি করে। রবীন্দ্রনাথ তো সংকটে ম্রিয়মাণ না হয়ে মনে শক্তি ধরে নিজেকে জয় করতে বলেছেন-
এটা বাস্তব, রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে নিজে ‘পজিটিভ’ থাকা বা মনের জোর ধরে রাখাটা জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজের মধ্যে একটি।
আক্রান্ত ব্যাক্তিকে অবশ্যই একা বা আইসোলেসনে থাকতে হবে। কিন্তু পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন এবং সহকর্মীদেরকে প্রতিনিয়ত সাহস জুগাতে হবে। ভেঙ্গে পড়া থেকে উঠে দাাঁড়াতে সবসময় মনকে চাঙা রাখতে হবে, মনে করিয়ে দিতে হবে সে একা নয় সবাই তার সাথে আছেন। আর এই বোধটাই আসলে মনের জোর সবচেয়ে বেশি বাড়ায়।
রবীন্দ্রনাথ গানে বলেছেন :
একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি,
তাই দিয়ে মনে মনে, রচি মম ফাল্গুনি’।
ঔষধ হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধেক হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সাথে অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সঙ্গে প্যারাসিটামল, অ্যান্টি হিস্টামিন, ভিটামিন সি ও জিংক ট্যাবলেট এবং ভিটামিন ডি সেবন করা যেতে পারে।
প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তায় খেতে হবে প্রচুর পানি ও ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, সাথে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার। আদা ও লবঙ্গ মিশিয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। গরম পানির গড়গড়া ও ভাপ নেওয়া জরুরী। কোনোভাবেই পানিশূন্যতা যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ঠান্ডা সবকিছুই নিষিদ্ধ।
যাঁরা সুস্থ আছেন, কোভিড-১৯-এ পজেটিভ নন, তাঁরাও সাবধানতার জন্য এসব মেনে চলতে পারেন। তবে লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে এগুলো প্রয়োজনীয় তো বটেই।
পরিশেষে বলব আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, পরিবারের সবাইকে সুরক্ষিত রাখুন,
সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন:সহকারী রেজিস্ট্রার (জনসংযোগ)
লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট।