রেশমি কাপড় পরিধানের ইসলামী বিধান
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
ইসলামী শরিয়তে অমিশ্র রেশম কাপড় পরিধান করা পুরুষের জন্য বৈধ নয়। তবে কোনো কাপড় যদি মিশ্র সুতায় তৈরি হয় এবং তাতে অন্য সুতার পরিমাণ বেশি হয় এবং রেশম সুতার পরিমাণ কম হয়, তবে পুরুষ তা পরিধান করতে পারবে। অন্যদিকে নারীরা সব ধরনের রেশমি পোশাক পরিধান করতে পারবে। রেশমি কাপড়ের পোশাক ও অন্যান্য ব্যবহার্য পণ্যের হুকুম এক।
যেমন রুমাল, চাদর, বিছানার চাদর, বালিশের আচ্ছাদনি ইত্যাদি। পোশাকের মতো এগুলো নারীর জন্য ব্যবহার করা জায়েজ এবং পুরুষের জন্য নাজায়েজ। (আল-মাউয়াসুল ফিকহিয়্যা : ৫/২৭৮)
হুজায়ফা (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) আমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি মোটা ও চিকন রেশমি বস্ত্র পরিধান করতে ও তাতে বসতে নিষেধ করেছেন। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৩৭)
তবে বিশেষ প্রয়োজনে শরিয়ত পুরুষকে রেশমের পোশাক পরিধানের অনুমতি দিয়েছে। যেমন চর্মরোগ ও উকুন প্রতিরোধ করা। (আল-ফিকহু আলা মাজাহিবিল আরবাআ, পৃষ্ঠা ৬৬৬)
অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে পুরুষদের জন্য রেশমি কাপড় এবং স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম; কিন্তু নারীদের জন্য তা হালাল। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৭২০)
এ ছাড়া সম্মুখ সমরে শত্রু বাহিনীর দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উজ্জ্বলবর্ণের এবং আঘাত প্রতিরোধের জন্য মোটা রেশমি পোশাক পরিধানের অবকাশ আছে বলে মত দিয়েছেন কোনো কোনো ইসলামী আইনজ্ঞ।