মেসির প্যান্ট ‘চুরি’
দৈনিকসিলেটডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে অভিষেক ম্যাচে মাঠে নেমেই গোলের দেখা পান লিওনেল মেসি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে (অতিরিক্ত সময়) মেসি গোল দিলে তার দল ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় পায়।
পিএসজি থেকে মায়ামিতে আসা আর্জেন্টাইন তারকার প্রথম ম্যাচেই ম্যাজিক দেখে সমর্থকেরা কার্যত ‘পাগল’ হয়ে উঠেছে। তবে শুধুমাত্র সমর্থকেরাই নন, ক্লাবের সমর্থকেরাও লিওনেল মেসিকে হাতের কাছে পেয়ে কী করবেন আর কী করবেন না, সেটাই এখনও পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছেন না। মেসিকে নিয়ে দলের সমর্থকেরা যে কতটা উচ্ছ্বসিত, সেটাই ফাঁস করলেন মায়ামির মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চি।
আজুলের বিপক্ষে মেসির সঙ্গে মাঠ শেয়ার করতে পারেননি ক্রিমাশ্চি। কারণ ম্য়াচের ৫৪ মিনিটে তার পরিবর্তেই মাঠে নামেন মেসি। আর শুধুমাত্র নামেন বললে ভুল হবে, তিনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করে বেরিয়েও গেলেন। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্রি-কিক থেকে মেসি যে অনবদ্য একটি গোল করলেন, সেটা দেখার পর স্বয়ং ডেভিড বেকহ্যামও কেঁদে ফেলেছিলেন।
এরপর ম্যাচ শেষ হতে না হতেই ড্রেসিংরুমে মেসিকে নিয়ে কার্যত উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়। এ নিয়ে ক্রিমাশ্চি বলেন, ‘সবাই মেসির কাছে গিয়ে তার জার্সির আবদার করছিল। যখন সেটা শেষ হয়ে যায়, তারপর অনেকেই মেসির প্যান্ট পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে গেছেন।’
তবে মেসির সঙ্গে খেলতে না পারার জন্য কিছুটা হলেও আক্ষেপ ঝরল ক্রিমাশ্চির গলায়। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম যে মেসি আর আমি একসঙ্গে খেলতে পারব। আমার নম্বরটা দেখামাত্রই প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে যখন মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হল, তখন কার্যত আমি ঘোরের মধ্যেই ছিলাম। কারণ তখন মনে হয়েছিল যে আমি আর মেসির সতীর্থ নই। তার অগণিত ভক্তদের মধ্যেই একজন হয়ে গিয়েছি। আর সেকারণেই মাঠের বাইরে বসে আমি খেলা উপভোগ করছিলাম।’