তারেক রহমান দেশকে অস্থির করার পরিকল্পনা করছে: নানক
রাসেল মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
তারেক রহমান আবার দেশকে অস্থির করার পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট মাস স্মরণে ‘মেধাবৃত্তি প্রদান, সেলাই মেশিন, কম্পিউটার এবং সেলাই প্রশিক্ষণের সনদপত্র ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্টানর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়া সৃষ্টি হয় বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হানাদার বাহিনীর পক্ষে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েই জিয়ার নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, কারণ জিয়াই এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন মাসুদের সঞ্চালনায় ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ এমপি, পুলিশ সুপার মনজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল হক, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে।
বক্তব্য রাখেন, চা শ্রমিক প্রতিনিধি ও রাজঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী ও মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত। পর্যায়ক্রমে একাটুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান,এম এমদাদুল হক মিন্টু, জেলা পরিষদের প্যানের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম,কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ শিপার উদ্দিন আহমদ, রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সোয়েব, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হক ও সহ-সভাপতি অপুর্ব কান্তি ধর, কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ১৫ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি, ১০০টি সেলাই মেশিন, ১৫ লাখ টাকার ক্রীড়া সামগ্রী এবং ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। এছাড়া পাবলিক লাইব্রেরি ও রেড ক্রিসেন্টকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হয়।