সিলেটেও হারের বৃত্তে ফরচুন বরিশাল
স্পোর্টস প্রতিবেদক :
বিপিএলের দশম আসর মাঠে গড়ানোর আগে শিরোপার লড়াই ফরচুন বরিশালকে এগিয়ে রেখেছিল বিশ্লেষকরা। কারণ, দলটিতে বিদেশি তারকা ছাড়াও দেশের ক্রিকেট সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিন (তামিম,মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ) খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছিল বরিশাল। তবে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বরিশালে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে হারালেও পরের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) টস জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তারা। ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালকে ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ। ১৭ বলে ৩৯ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। স্বদেশি বিলাল খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কার্টিস ক্যাম্ফারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৩০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ৪ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে জন্য লড়াই করতে থাকে বরিশাল।
১৬ বলে ৩৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে মিরাজ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। ২২ বলে ২৩ রান করে আউট হন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত আব্বাস আফ্রিদির ৮ বলে ১১ রান এবং ওয়েল্লালাগে ৪ বলে অপরাজিত ১১ রানের ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন কার্টিন ক্যাম্ফার। দুই উইকেট শিকার করেন বিলাল খান। এ ছাড়া এক উইকেট নেন আল আমিন।