‘প্রেমের বিয়ে’ দাম্পত্য কলহ বাড়াচ্ছে
দৈনিকসিলেটডেস্ক
প্রেমের বিয়ে দাম্পত্য কলহ বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার এক যুবকের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। এ সময় তারা হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করার জন্য সরকারকে অনুরোধও করেন।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সমাজের ধারায় ‘প্রেম করে বিয়ে করা’র রীতি সহজেই ঢুকে পড়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনে পরিবর্তন প্রয়োজন। হিন্দু বিবাহ আইনে, যে যে কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা মানানসই নয় বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি ডোনাডি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ ভারত সরকারের কাছে হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে। আদালতের মন্তব্য, ১৯৫৫ সালে যে সময়ে এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল, ওই সময়ের বিয়ের সঙ্গে এখনকার বিয়ের ধরন অনেক আলাদা। এখন যেভাবে বিয়ে হয়, তা তখন ‘শোনাই যেত না’। বিয়ের সাথে জুড়ে থাকা আবেগ এবং শ্রদ্ধা এখনকার দিনে বদলে গেছে।
বিচারপতিদের এই বেঞ্চ বলেন, প্রেমের মাধ্যমে যেসব বিয়ে হচ্ছে, সেসব বৈবাহিক সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গিয়ে শিথিল হয়ে পড়ছে, নানা ধরনের বিবাদ তৈরি হচ্ছে এবং শেষে তারা আলাদা থাকতে শুরু করছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, বিয়ের এই বদলকে প্রভাবিত করেছে শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জাতপাতের বাঁধ ভাঙা, আধুনিকতা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। সমাজ এখন আরও বেশি উদার, স্বাধীন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিয়েতে আর আগের মতো আবেগের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের কিছু বিষয় বর্তমানে দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে