প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ার উপহার দিতে চান কাঠমিস্ত্রি হীরেন্দ্র চন্দ্র
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে নৌকা মার্কার আদলে দৃষ্টিনন্দন ও রাজসিক একটি চেয়ার বানিয়েছেন কাঠমিস্ত্রি হীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার (হিরু)।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই চেয়ার উপহার দিতে চান তিনি। চেয়ারের উপরের একপাশে সাজানো হয়েছে নৌকার ছবির দৃষ্টিনন্দন আদলে। চেয়ারটি দেখলে বুঝতে বাকি থাকে না যে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অগাধ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের আদাঐর গ্রামের বাসিন্দা হীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার হিরু।
৩৫ বছর ধরে কাঠমিস্ত্রি পেশার সঙ্গে জড়িত তিনি। দেশের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ নানাবিধ উন্নয়ন বাস্তবায়নের পর থেকে ভাবনা ছিল, প্রধানমন্ত্রীর জন্য কিছু করার। শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও সাধ্যের জায়গা থেকে বানিয়েছেন নৌকা খচিত দৃষ্টিনন্দন এ চেয়ারটি।
উপজেলার তেলিয়াপাড়া থেকে সেগুন ও গামাই কাঠ নিয়ে এসে চেয়ারের কাজ শুরু করেন হীরেন্দ্র। এক মাস ধরে রাত-দিন পরিশ্রম করে চেয়ারের কাজ শেষ করেছেন। এখন অপেক্ষা শুধু প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার। ব্যতিক্রমী ও চোখ জুড়ানো চেয়ারটি দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার লোকজনরা।
চেয়ারটি দেখতে আসা স্থানীয় মেম্বার মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, আমি গত এক মাস থেকে দেখছি হীরেন্দ্র দাদা খুব কষ্ট করে মনোযোগ দিয়ে চেয়ারটি বানিয়েছেন। আমি মনে করেছিলাম কেউ বানাতে দিয়েছে। পরে উনি বললেন, এটা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবেন। একজন কাঠমিস্ত্রির এমন ভালোবাসার উপহার দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী এটি গ্রহণ করুক।
আদাঐর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম খান চেয়ারটি দেখেই বলেন অনেক সুন্দর। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, অনেক যত্ন নিয়ে বানানো হয়েছে চেয়ারটি। চেয়ারে নকশার কাজগুলোও অনেক নিপুণ ও নিখুঁত। এক কথায় বলতে গেলে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার মতোই সুন্দর একটি চেয়ার এটি।তার ইচ্ছাটি যেন পূরণ হয় আমরা সেই আশা করি।
চেয়ারের কারিগর কাঠমিস্ত্রি হীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, দেশের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ নানাবিধ উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপহার হিসেবে চেয়ারটি গত ১ মাস আগে বানানো শুরু করি। রাতদিন অনেক খেটে, যত্ন নিয়ে চেয়ারটি বানিয়েছি শুধু মাত্র প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য। চেয়ারটি প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে গ্রহণ করলে আমার পরিশ্রম সার্থকতা পাবে। এখন এই চেয়ার কীভাবে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাবো সেটা বুঝতে পারছি না। সেজন্য আমি সকলের সহযোগিতা চাই। আমার মত কাঠমিস্ত্রির উপহার প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করলে আমার জীবনে আর চাওয়ার কিছুই থাকবে না।