শাবিপ্রবি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ১০ দাবি
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা চালুতে উপাচার্যের নিকট ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর নিকট এসব দাবি উত্থাপন করেন জোটের নেতারা।
সাংস্কতিক জোটটির ১০ দফা দাবিগুলো হল:
১) বিগত চার মাস যাবত শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে পারে নি। সেক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা।
২) ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বেশ কিছুদিন যাবত ক্যাম্পাসে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যার নিষ্পত্তি হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৩) গত ২৬শে আগষ্ট, ২০২৪ তারিখ বহিরাগত দ্বারা জোরপূর্বক আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেওয়ার ফলে যে আবাসন সমস্যা সৃষ্টি হয়, অতিদ্রুত তা সমাধান করা। একই সাথে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যদিকে, হল-রিফরমেশন কমিটির গ্রহনযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে এবং সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রকাশ করতে হবে।
৪) অতিদ্রুত মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলাগুলো থেকে নিরপরাধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম অপসারণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করা।
৫) দলীয় রাজনীতির প্রভাব মুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা। সেক্ষেত্রে ছাত্র- শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যকার যেকোনো ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬) প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্ট বডি এবং ছাত্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে। ক্যাম্পাস ভিত্তিক যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে যেন তারা সর্বাত্মক সহায়তা করে।
৭) ক্যাম্পাসের সকল অনুমোদিত অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো যেন তাদের কার্যক্রম সুন্দরভাবে চালিয়ে যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। যেকোনো সংগঠন যেকোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হলে, অতিদ্রুত তা সমাধানের ব্যবস্থা করা।
৮) ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য, সর্বক্ষেত্রে ছাত্রদের মতামত গ্রহনের ব্যবস্থা করা এবং জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন নিশ্চিত করা।
৯) পাশাপাশি ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য স্টুডেন্ট কেবিনেট / শাকসু গঠন করা। সেক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করা।
১০) শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট নিরসন করা এবং নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আবাসিক হলে সিট বন্টন করা। একই সাথে আবাসিক হলগুলোকে সম্পূর্ণরূপে দলীয় রাজনীতি মুক্ত করা।