পাঁচশত বছরের পুরনো স্থাপনা বিথঙ্গল আখড়া

আকতার সাদিক চৌধুরী
দেশের অন্যতমও তীর্থস্থান বিথঙ্গল আখড়া। এর অবস্হান হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বিথঙ্গল এলাকায়। সনাতন ধর্মাবলম্বী উদাসি বৈষ্ণবদের তীর্থস্থান এটি। বিথঙ্গল আখড়ার ভিতর বাহির ঘূরে দেখার সুবাদে জানা হয় অজানা অনেক কিছু। প্রাচীন যুগের তৈরি চুনা পাথর আঠা এবং এক প্রকার ইটের নান্দনিক নির্মান শৈলির কারুকাজে রয়েছে কয়েকটি ভবন। ভবনটির একশত বিশটি কক্ষ বৈষ্ণবদের জন্যই রয়েছে নির্ধারিত। প্রাচীন ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে বিথঙ্গল আখড়া বেশ পরিচিত।
দায়িত্বে থাকা একজন গৃহী বৈষ্ণব জ্যোতি ভূষণ তার বরাতে জানা হয় তাদের কর্তা শ্রী শ্রী সুকুমার দাস মন্ত ঘোষানীর কথা তিনি দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে এই আখড়া দেখভাল করে আসছেন পাশাপাশি কর্তা একজন সাধক হিসেবে নানান সমস্যায় জর্জরিত এমনকি অসুখ-বিসুখে ধরা লোকজনদের আরোগ্য সেবায়ও কাজ করছেন।

সরকার থেকে বৈষ্ণবদের জন্য আলাদা কিছু বরাদ্দ না থাকলেও আখড়ার বিভিন্ন অংশ এরই মধ্যে সংস্কারও হয়েছে বলে জানা যায়। বিথঙ্গল আখড়ার সঠিক সময়কাল জানা না গেলেও এটি বেশ প্রাচীন অনেকরই ধারণা এর বয়স গড়িয়েছে পাঁচশত বছরেরও অধিক। যোগাযোগের ব্যবস্হা ভালো না থাকলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা লোকজনদের ভিড় জমে বিথঙ্গল আখড়া নামের এই তীর্থস্থানে। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় বারো কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বা কম বেশি হতে পারে। সরেজমিন ঘূরে আসার এক ফাঁকে কিছু তথ্য সংরক্ষণ করতেই ছবিটি তুলে নেওয়া।