হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে যে সবজি
পুষ্টিকর সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিট। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি থেকে শুরু করে হজম শক্তি বাড়ানো, শক্তি বৃদ্ধি এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার মতো নানা উপকার করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিট সালাদ, জুস বা তরকারি আকারে যুক্ত করলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থতা বজায় থাকে।
এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেটস, যা শরীরে গিয়ে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। এটি রক্তনালিকে প্রসারিত করে, ফলে রক্তসঞ্চালন ভালো হয় এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের জন্য বিট একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপায়। বিটে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটস থাকে, যা এটিকে শক্তির অসাধারণ উৎস করে তোলে।
প্রতিদিন একটি বিট খেলে শারীরিক সহনশক্তি ও এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়। ক্রীড়াবিদ ও শারীরিক শ্রম দেওয়া ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। এটিকে সালাদ বা জুস হিসেবে গ্রহণ করুন। বিটে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমতন্ত্রকে উন্নত করে।এটি অন্ত্রের মুভমেন্ট ভালো করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। নিয়মিত বিট খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং হজমজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়। এটিকে সালাদ বা জুস আকারে খাওয়া যেতে পারে।
বিটে বিটালেইন নামক এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমায়। এটি ফ্রি র্যাডিক্যালসের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত বিট খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
এই সবজিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি কোলাজেন বাড়ায়, ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে এবং বলিরেখা কমায়। নিয়মিত বিট খেলে ত্বক উজ্জ্বল, তরুণ ও সুস্থ দেখায়।
বিটে থাকা ফোলিক এসিড ও পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। ফোলিক এসিড রক্তনালির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ধমনীর প্রদাহ কমায়, ফলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
সবশেষে বলা যায়, বিট কেবল একটি রঙিন ও সুস্বাদু সবজি নয়, বরং এটি প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার, যা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমকে সমর্থন করে এবং প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে।
নিয়মিত বিট খাওয়ার ফলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ক্লান্তি দূর হয় এবং সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ে। প্রতিদিনের খাবারে সামান্য বিট যোগ করলেই দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা ও জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিশেষ করে যারা হার্টের সমস্যা বা রক্তচাপ নিয়ে সতর্ক, তাদের জন্য বিট একটি সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান। সূত্র : আজকাল