‘হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে কেন্দ্র করে সুরক্ষা আদেশের খসড়া তৈরি করেছি’
হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে কেন্দ্র করে একটা সুরক্ষা আদেশের খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এনজিওর প্রকল্পগুলো টেকসই হতে হলে কোনো একটা মেকানিজমে সরকারের সঙ্গে কাজ করা উচিত। আমি দায়িত্ব নিয়ে দেখলাম, সবচেয়ে অবহেলিত হাওর অধিদফতর। কিন্তু এদের কোনো সাংগঠনিক কাঠামো নতুন করে অনুমোদন হয়নি। হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশের খসড়া করেছি। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পানি আইনের অধীনে কোনো সুরক্ষা আদেশ হয়নি। হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে কেন্দ্র করে একটা সুরক্ষা আদেশের খসড়া এরইমধ্যে তৈরি করেছি। গেজেটেড হয়ে গেলে হাওরকে কৃষিবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব করতে পারব। হাওরকে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটি অধিদফতর তাদের নির্দিষ্ট কাজগুলো করতে পারবে।
তিনি বলেন, হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশ সংসদে পাশ হলে একটা ভালো জনবল আমরা হাওর অধিদফতরে পাব। এতে হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় কাজ করতে পারব।
আপাতত ইউকে-মেটাফেসের সঙ্গে চুক্তিটি অল্প সময়ের জন্য জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ইউকেতে আবহাওয়ার বার্তাটা সুন্দর করে দেয়। এটিতে তারা অনেক উন্নত। আর্থিক সক্ষমতার অভাবে আমরা এটি পারি না। আগামী ছয় মাস এই চুক্তির অধীনে ইউকে আমাদের সক্ষমতা বাড়িতে দেবে যে কিভাবে ড্যাটা এনালাইসিস করতে হয়। প্রকৃত বৃষ্টিপাত কত হচ্ছে এটি যেন জানতে পারি, সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যেন দিতে পারি।
‘আবহাওয়াবিদরা প্রায় সময়ই বলেন, বন্যা আসবে জানতাম না। উজানে ভারি বৃষ্টি হলে কখন কোন সময় কোনদিক দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে সঠিকভাবে বলা যায় না। জলবায়ু পরিবর্তনের সময়ে এই ঝুঁকিগুলো আরও বাড়বে’, যোগ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।






