নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে পরিণাম ভালো হবে না: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো গণভোট নয়। এটা হলে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচনের দিনই হতে হবে গণভোট। ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারকে অবিলম্বে গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি রাজপথে ভেসে আসা কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এদেশের মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে আমরা মা, মাটি ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। ফলে আমাদের ফেলনা মনে করলে ভুল করবেন। ভালোয় ভালোয় নির্বাচন দিন। নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্র হলে তার পরিণাম ভালো হবে না। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন বানচালের সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে বিএনপি প্রস্তুত আছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে যশোর টাউন হল ময়দানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মস্ত্রী তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো গণভোট নয়। এটা হলে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচনের দিনই হতে হবে গণভোট। ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারকে অবিলম্বে গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রকে আর হরণ করবেন না, জনগণের অধিকারকে নষ্ট করবেন না। বিএনপি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বাসী। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং কিছু সংখ্যক রাজনৈতিকদল অসৎ উদ্দেশ্যে একটি গোলযোগ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে, জনগণ তাদেরকে ক্ষমা করবে না। প্রয়োজনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল করার চেষ্টার পরিণাম ভালো হবে না। একটি দল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ঘোলা করার চেষ্টা করছে। আজ এই শোকাহত পরিবেশে অমরা আপনাদের বলতে চাই, এ সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। এ সরকারকে বিএনপিসহ দেশের প্রগতিশীল ও স্বৈরাচার বিরোধী মুভমেন্ট করা সব রাজনৈতিক দলগুলো সহায়তা দিয়ে আসছি। তাই সরকারকে বলবো, দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে আপনাদের বিদায় হোক সেটা বিএনপি চায় না।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, প্রকৌশলী টি এস আইয়ুব, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কাজী রওনোকুল ইসলাম শ্রাবন, সাবিরা সুলতানা মুন্নি, আবুল হোসেন আজাদ, অমলেন্দু দাস অপু, হাসান জহির, তানিয়া রহমান, জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান প্রমুখ।
স্মরণ সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোর জেলার সকল থানা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।








