সিলেট-৪ আসনকে কৃত্রিমভাবে দরিদ্র বানিয়ে রাখা হয়েছে: অ্যাড. জামান
সিলেট-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেছেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসনকে কৃত্রিমভাবে দরিদ্র বানিয়ে রাখা হয়েছে। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের শাসন আমলে উন্নয়নবঞ্চিত ছিল এই এলাকা। শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে এই অঞ্চলকে। এই অঞ্চলকে বলা হয় দরিদ্র অঞ্চল।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চলের নেতা নির্ধারণ করতে হলে আপনাদেরকে বিবেচনা করতে হবে, ভাগ্যের উন্নয়ন এবং রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালের উন্নয়ন করতে আপনাদের চিন্তাধারাকে কাজে লাগাতে হবে। কিছু সুযোগ সুবিধা আসবে আর সেই সুযোগ সুবিধা আরও কিছু লোক ভোগ করবে, কিন্তু বেশিরভাগ লোকের উপকার হবে না, দেশের উন্নয়ন হবে না।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফা কর্মসূচীর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দলের মনোনয়নের ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেন, দল যদি আমাকে নমিনেশন না দেয় যাকে দেবে ধানের শীষের জন্য তাদের সঙ্গে শরিক হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করবো।
তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা পিআর চাই না, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠতার পক্ষে। তাই গণমানুষের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে এফপিটিপি (FPTP) ভোট পদ্ধতি গ্রহণের দাবিতে জনমত গঠনের লক্ষে ৩১ দফার গুরুত্ব অনুভব করা প্রয়োজন।
দলের পদবী ছেড়ে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২১ সালে দলে আমার যে পদবী ছিলো সেই পদবী ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারণ ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমার দলের অসং্খ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছিল, নানা অত্যাচার ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছিল। কিন্তু তারা কিছুই পাইনি। ২০২১ সালে আমি বলেছিলাম আমার সহকর্মীদের যদি কিছু না দেন তাহলে আমার পদবী রাখার দরকার নেই। আমারতো পদ ছিলো। এতো লোভনীয় পদ কেউ ছাড়ে না। কারণ আমার লোকজনের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। কিন্তু আমি বিএনপির ছিলাম এবং আছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে বেগম খালেদা যখন সিলেট সার্কিট হাউসে এসেছিলেন তখন আওয়ামী লীগ সার্কিট হাউসে ঘেরাও দিয়ে রেখেছিল সেখানে ঢুকা যায়। তখন বিএনপি নেতা আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন জামান ম্যাডামকে ঢুকতে দিচ্ছে না কিছু একটা করো। তখন ২-৩ হাজার ছেলে নিয়ে আ.লীগকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম ৪৫ মিনিটের ভেতরে শহর খালি করে দিতে। তারা বাধ্য হয়েছিল সেদিন শহর খালি করে দিতে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনে আমি আমার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে সব জায়গায় প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলেছিলাম।এমনকি আমি নিজেই গুলিবিদ্ধ হয়েছি।কিন্তু কিছু লোক বলে আমরা নাকি কিছু করি নাই।
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, এদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি কি বুঝে না। তাই পূর্বের ভোটিং পদ্ধতি তথা সরাসরি সংখ্যা ঘরিষ্টতা পূর্বের ভোটিং পদ্ধতি বাস্তবায়নে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠতার পক্ষে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক মো.রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিনের পরিচালনা সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আছলাম উদ্দিন।
এদিকে, আসরের নামাজের পর গোয়াইনঘাট বাজারে ৩১ দফা কর্মসূচী সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।
এসময় জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতীদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।






