তাহিরপুরে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা হাওর ভাতা থেকে বঞ্চিত, ক্ষোভ
হাওর অঞ্চলের সুবিধা হিসেবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের প্রতিটি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাওর ভাতা পেলেও একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হাওর ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছে গেছে। এ নিয়ে শিক্ষক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অথছ এই ভাতা পাওয়ার জন্য মিটিং মিছিল আন্দোলন করেছে সবার আগেই এই উপজেলার শিক্ষকগন।
উপজেলার সচেতন মহল বলছেন, হাওর ভাতা পাওয়া শিক্ষকদের ন্যায অধিকার তা থেকে বঞ্চিত করা ভাল লক্ষ্যন নয়। শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থে শিক্ষকদের হাওর ভাতা দেয়া খুবই প্রয়োজনীয়। হাওর ভাতা পেলে শিক্ষকগনও পাঠ্যদানে আরও মনোযোগি হবেন। তবে শুধু ভাতা দাবি করলেই হবে না,বিদ্যালয়ে পাঠদানের মান উন্নয়নেও শিক্ষকদের মনোযোগী হতে হবে। কারন তাহিরপুরে শিক্ষার মান খুব একটা ভাল অবস্থানে নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলাসহ সাতটি উপজেলাকে ২০২২ সালে হাওর এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হাওর ভাতা চালু করা হয়। তবে শর্ত ছিল-স্থানীয় বাসিন্দারা এই ভাতা পাবেন না। এতে তাহিরপুরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভাতা থেকে বঞ্চিত হন। এই বৈষম্যের প্রতিবাদে শুরু হয়,দীর্ঘ আন্দোলন ও প্রশাসনিক প্রচেষ্টা। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৬ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ‘স্থানীয়’ শব্দটি বাতিল করে ১ জুলাই থেকে হাওর ভাতা কার্যকর করার ঘোষণা আসে। কিন্তু বাস্তবায়নে দেখা যায় উল্টো,স্বাস্থ্য,মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা হাওর ভাতা পেলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে গেছে। এতে উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকগনের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
হাওর ভাতা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেক শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান মন্তব্য করেছেন। একাধিক শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,একই হাওরে কাজ করি আমরা হাওর ভাতা পেলাম না অথছ অন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত চাকরি জীবিরা হাওর ভাতা পেয়েছে। এটা একেবারেই বেমানান এবং আমরা বৈষম্যের শিকার। তাই নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য দরু করে দ্রুত হাওর ভাতার আওতায় আমাদেরকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাই।
শিক্ষক এইছ এম তৌফিক আহমেদ বলেন,তাহিরপুর উপজেলার বেশি ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় পানি থাকে। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দূর্ভোগ পেড়িয়ে স্কুলে আসে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাঠদান করাছেন। তাই হাওর ভাতা নিয়ে ন্যাযতার দাবী করছি।
শিক্ষক এম মাসুদ জানান, হাওরে আছি অথছ হাওর ভাতা বঞ্চিত হবো এটা মানা যায় না। দ্রুত হাওর ভাতা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার দাবী জানাই।
তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুলেমান মিয়া জানান, হাওর ভাতার জন্য চাহিদাপত্র ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। বাজেট অনুমোদন হলেই শিক্ষকরা ভাতা পাবেন। এ নিয়ে বিচলিত হবার কোনো কারন নেই।







