ভারতের হিমাচলে বন্যায় ৭৮ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩১
ভারতের হিমাচল প্রদেশে গত ২০ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৭৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ৩১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
রবিবার (৬ জুলাই) রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, এর মধ্যে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের ফলে ভাঙনে ৫০ জন মারা গেছেন এবং ২৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
হিমাচল প্রদেশে বর্ষাকালে আবহাওয়াজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় আকস্মিক বন্যা, ভাঙন এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মান্ডি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে ভাঙন, আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের ১০টি বড় ঘটনা ঘটেছে।
২০ জুন হিমাচল প্রদেশে বর্ষা শুরু হয়। এর পর থেকে রাজ্যজুড়ে বিপর্যয়কর আবহাওয়ার ঘটনা ঘন ঘন ঘটছে।
বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- আকস্মিক বন্যায় ১৪ জন, পানিতে ডুবে আটজন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটজন এবং ভূমিধস, বজ্রপাত এবং সাপের কামড়ে কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মান্ডি জেলায় বৃষ্টিপাতজনিত মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ১৭ জন, তারপরে কাংড়ায় ১১ জন।
হতাহতের পাশাপাশি রাজ্যটি ব্যাপক অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, ২৬৯টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, ২৮৫টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২৭৮টি পানি সরবরাহ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫৭ কোটি টাকারও বেশি বলে অনুমান করা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ সোমবার এবং মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশের তিন থেকে দশটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। এই সময়ের মধ্যে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। জনগণকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং জলাশয়ের কাছাকাছি যেতে এড়িয়ে চলতে বলেছে।