মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ল’ নাইট এবং ল’ ক্লিনিকের অভিষেক সম্পন্ন
দৈনিক সিলেট ডট কম
দৈনিকসিলেটডেস্ক:বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন একটি শৈল্পিক পেশা। এর কিছু শৈল্পিকতা রয়েছে। এই শৈল্পিকতাকে যারা ধারণ করতে পারেন, তাঁরাই ভালো আইনজীবী হয়ে উঠেন। কোন কথার মাধ্যমে আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায় এটা যারা বুঝতে পারবেন, তারাই ভালো করতে পারেন।’ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে ‘ল নাইট’ ও বিভাগের ‘ল ক্লিনিক’ এর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ল’ ক্লিনিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান হয় বলে রবিবার জানায় জনসংযোগ শাখা।
আলাদা আইন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে জানিয়ে বদরুজ্জামান বলেন, সরকার ইতোমধ্যে আইন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে আইনের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী পাওয়া যাবে। সম্প্রতি বিশ^বিদ্যালয়গুলোর আইন বিভাগে যে ‘ল ক্লিনিক’ চালু করা হয়েছে সেটাও শিক্ষার্থীদের আইনজীবী হওয়ার পথকে আরও মসৃণ করে তুলবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম রবিউল হোসেন বলেন, বার কাউন্সিলে যে নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা আইন শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা। দেশকে শিক্ষিত করতে কিছু নীতি অবশ্যই প্রয়োজন। তবে বার কাউন্সিলের এই নিয়ম শিক্ষানীতি পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। ফলে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মামলা পর্যন্ত করতে হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা ‘ল ক্লিনিক’ এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অন্ধকার থেকে সত্যকে অন্বেষণ করাই আইনের মূল লক্ষ্য। আইন পেশাজীবীদের তাই অন্ধকার থেকে সত্যকে খুঁজে নিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার সক্ষমতা রয়েছে। ল ক্লিনিক সেই ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। এই ক্লিনিকের মূল উদ্দেশ্য সমাজে যারা বৈষম্যের শিকার, আইনের সেবা থেকে যারা বঞ্চিত তাদেরকে আইনের সহায়তা প্রদান করা। আইনের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ব্যবহারিক শিক্ষা অর্জনের সুযোগ দেবে এই ল ক্লিনিক। কেননা এই ক্লিনিকের সদস্য সবাই শিক্ষার্থী। তারাই এই ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা দেবে মানুষকে। আইনের সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীরাই অবদান রাখবে।
আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বিভাগের অধ্যাপক ব্যারিস্টার আরশ আলী, সহকারী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান। আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান ও নিশাত তাবাসসুমের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সহকারী প্রক্টর অ্যাডভোকেট আব্বাছ উদ্দিন, বিশ^বিদ্যালয়ের ল অ্যালামনাই এসাসিয়েশনের আহ্বায়ক, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ফাতেমা ইমরোজ সামান্তা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাকি শাহ ফরিদী, ল ক্লিনিকের সভাপতি মাহবুব আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আইন দর্পণ নামে একটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।