মৌলভীবাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
দৈনিকসিলেট ডটকম :
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলার ১৯টি স্থায়ী ও ১৫টি অস্থায়ী মিলে ৩৪টি গবাদিপশুর হাট এখন বেশ জমে উঠেছে। তবে খাদ্যদ্রব্যসহ অন্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় গবাদিপশুগুলোর দাম অন্যবারের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী। জেলার ৩৪টি বাজারে গরু, ছাগল, ভেড়াসহ নানা জাতের হাঁস ও মোরগ বিক্রি হলেও ব্যতিক্রম জেলার কুলাউড়া উপজেলার ও সিলেট বিভাগের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী গবাদিপশুর হাট ব্রাহ্মণবাজার ও কমলগঞ্জের আদমপুর বাজার। ওই বাজার দু’টিতে অন্য গবাদিপশুর সঙ্গে মহিষও বিক্রি হয়। ব্রাহ্মণবাজারে গবাদিপশুর হাট বসে সপ্তাহে প্রতি সোমবার আর আদমপুর বাজার শুক্রবার। তবে কোরবানি উপলক্ষে বাজার চলে একটানা ঈদের দিন পর্যন্ত। জেলার খামারিরা জানান, এ বছর বড় গরু বা মহিষের চেয়ে কোরবানি উপযুক্ত ছোট ও মধ্যম গরু ও মহিষের চাহিদা অনেক বেশি।
চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় দামও অনেক বেশি। বড় গরুর জোগান বেশি হলেও ক্রেতা তুলনামূলক কম। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর আসন্ন ঈদুল আজহায় জেলায় ৬২ হাজার ৫২টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে গরু ৪৩ হাজার ৬১৮, মহিষ ২ হাজার ৪২২ ও ছাগল-ভেড়া ১৫ হাজার ৯২২টি।
৬২ হাজার ৫২টি পশুর মধ্যে খামারিভাবে ৩৯ হাজার ৪৮৯ ও পারিবারিকভাবে কৃষক পর্যায়ে ২২ হাজার ৫৬৫টি। জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর মোট চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৬শ’টি। খামারি রয়েছেন ৫ হাজার ৫৫১ জন।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারি ও কৃষকরা লাভের আশায় পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে গেল মাসের শেষের দিক থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে গরু আক্রান্ত হওয়ায় কৃষক ও খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তরুণ খামারিরা জানান, গবাদিপশু পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে কেউ খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তারা বলছেন বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়াই খরচ অনেক বেড়েছে। ভালো দাম না পাওয়া গেলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ মানবজমিনকে জানান বৈশ্বিক কারণে খাদ্যের দাম বাড়তি। তবে গবাদিপশুর দামও বেড়েছে। কোভিড-১৯ এর পর থেকে কোরবানির পশু অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।