পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ ‘দার্জিলিং টিলা’
রাসেল মাহমুদ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দিগন্ত বিস্তৃত চা-বাগান। নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা। নান্দনিক এ দৃশ্য দেখতে এখানে ছুটে আসেন মানুষ। এখানকার সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা করেছেন ‘দার্জিলিং টিলা’।
স্থানীয়রা জানান, চা বাগানের মাঝে মাঝে টিলা বেষ্টিত ছোট ছোট জনপদ শ্রীমঙ্গল। পাহাড়, অরণ্য, পাখির অভয়ারণ্য, হাওর উঁচু-নিচু টিলা বেষ্টিত সবুজ চাদরে ঢাকা শ্রীমঙ্গলের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা। সম্প্রতি পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এম আর খান চা বাগানের দার্জিলিং টিলা। যা পর্যটকদের করছে আকৃষ্ট। প্রতিদিন বিকেলে এ টিলা মুখরিত হয়ে উঠে পর্যটকদের পদচারণায়।
শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে উপজেলার রাধানগর এলাকায় এমআর খান চা বাগানের ৭ নম্বর সেকশনে দার্জিলিং টিলার অবস্থান। এখানে শুধু স্থানীয়দের ভিড়ই না জায়গাটি অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে। তাই সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এ জায়গায়।
বাগান ঘুরে দেখা যায়, সবুজের সমারোহে মুগ্ধতা ছড়ানো দৃষ্টিনন্দন এ টিলা পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। প্রকৃতির সব সৌন্দর্যের সম্মিলন যেন এখানে। এমন অনিন্দ্য সৌন্দর্যে একাকার হয়ে আছে এম আর খান চা বাগান। যেখানে রয়েছে ছবির মতো দৃশ্য। চতুর্দিকে সবুজ গাছগাছালি। দৃষ্টিজুড়ে শুধু সবুজের সমারোহ। দেখতে অনেকটা দার্জিলিংয়ের চা-বাগানের মতো। আঁকাবাঁকা পথ, ঢেউ খেলানো সমান্তরাল রাস্তা নিমেষেই যে কারও বিষণ্ণ মনে প্রশান্তির ঢেউ এনে দিতে পারে। সবুজ গালিচা মোড়ানো চা-বাগানের প্রকৃতির এমন সান্নিধ্য পেতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা।
স্থানীয়রা টিলাটির নাম দিয়েছেন দার্জিলিং টিলা। তাঁরা জানান, এ টিলা এবং চা বাগানটি দেখতে দার্জিলিংয়ের মতো। তাই পর্যটকদের কাছেও এটা দার্জিলিং টিলা নামেই অধিক পরিচিত।মৌলভীবাজার শহর থেকে আসা লায়েক বলেন, চা বাগান আর টিলার অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি। এখানে এসে যে কোনো দর্শনার্থী মুগ্ধ না হয়ে পারবে না।