বিয়ানীবাজার উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:
বিয়ানীবাজার উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে সিলেট জেলায় মোট ৯ উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হল। বুধবার (৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ানীবাজারের আরো ১৮টি পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেয়ার অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের একজন মানুষও যাতে ভূমি ও গৃহহীন না থাকেন সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ১৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে বিয়ানীবাজারের ১৮টি পরিবার ভূমি ও গৃহহীন পান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে জমি ও ঘর নাই এমন পরিবারকে ২ শতক নিষ্কণ্টক খাসজমি ও একটি মানসম্মত গৃহ প্রদান করে এই পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৫শ টাকা।
আজ বুধবার এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়। সিলেটে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ সকালে ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন।
চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ঘর দেয়ার মাধ্যমে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কোনো ভূমি ও গৃহহীন রইলো না। তাই এসব উপজেলাকে আজ বুধবার ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান ইতিহাসে প্রথম ও সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। রাষ্ট্রের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে মূলস্রোতে তুলে আনার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাসগৃহ নির্মাণ করে জমির চিরস্থায়ী মালিকানা দেওয়া হচ্ছে। জমি কেনার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার উদাহরণ বিশ্বে কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, কিন্তু বিনাম্যল্য ঘরসহ জমির মালিকানা দেয়ার ঘটনা বাংলাদেশেই প্রথম।