শাবির ভর্তি কার্যক্রমে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের ব্লাড গ্রুপিং দিচ্ছে সঞ্চালন
নুর আলম, শাবিপ্রবি :
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানে না বা রক্তসনদ নিয়ে আসতে পারে নাই তাদেরকে বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং করে দিচ্ছে শাবিপ্রবির রক্তদানমূলক অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সঞ্চালন।
শাবিপ্রবিতে ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২৭,২৮ ও ২৯ আগস্ট। সংগঠনটি তিন দিনই এই স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো. ভাইস চ্যান্সেলর ড. কবির হোসেন স্যার ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড. মাহবুবুল হাকিম স্যারের উপস্থিতিতে সঞ্চালন তাদের আজকের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
সংগঠনটির সদস্যরা জানান, “সঞ্চালন ২০১৩-১৪ সেশন থেকে প্রতিবছর ভর্তি কার্যক্রমে ব্লাড গ্রুপিং টেস্ট করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন কলেজ, স্কুলে এবং বিভিন্ন চা বাগানে চা শ্রমিকদের ব্লাড গ্রুপিং টেস্ট করে থাকে”
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মো. শাহরিয়ার মাহমুদ সুস্ময় বলেন, “শাবিপ্রবি প্রশাসন বরাবর ই ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই সব ধরণের কার্যক্রম করে থাকে। অনেক সু:শৃঙ্খল ভাবে আজকের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। রক্তের গ্রুপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আমাদের ক্যাম্পাস আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয় একটি অংশ। অনেক ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী রক্তসনদ নিয়ে আসতে পারে নাই। আবার অনেকেই রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে অবগত না। ভর্তির দিনে তাদের যেনো এ ব্যাপারে কোনো অসুবিধা না হয়, তা বিবেচনায় রেখে সঞ্চালনের এই কার্যক্রম।”
এ সম্পর্কে সঞ্চালনের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন মিয়া বলেন,শাবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম প্রতিবছর সুশৃঙ্খলভাবে হয়ে থাকে। রক্তের গ্রুপ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সঞ্চালন প্রায় প্রতিবছর ভর্তি কমিটির অনুমতিক্রমে ভর্তি কার্যক্রমে ব্লাড গ্রুপিং টেস্ট করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রী বান্ধব সিদ্ধান্তের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভর্তি কমিটি কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সঞ্চালনের ভূয়সী প্রশংসা করতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সামাউন কবির বলেন, “পৃথিবীতে সকল ধর্মেই মুমূর্ষুকে দানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই দান যদি হয় রক্ত, তবে তার মহত্ব ছাড়িয়ে যায় অন্য সব কিছুকে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সঞ্চালন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। রক্ত সংগ্রহ করে মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের।”