ড্রাগন ফল চাষে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করলেন সৌদি প্রবাসী
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় ড্রাগন ফল চাষে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করেছেন জহুর হোসেন নামে এক সৌদি আরব প্রবাসী। চলতি বছর ড্রাগন ফল বিক্রি করে অন্তত ১৫ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন জহুর।
গাজীপুর ইউনিয়নের মানিক ভান্ডার গ্রামের বাসিন্দা জহুর হোসেন প্রায় ২০ বছর ধরে আছেন সৌদি আরবে। সেখান থেকে পাঠানো টাকায় আব্দুল আহাদ নামে এক আত্মীয়ের সহায়তায় গড়ে তুলেছেন মনোয়ারা জহুর এগ্রো ফার্ম নামে ড্রাগন ফলের বাগান। মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে এটিই এখন এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান। ২০২১ সালে নিজ গ্রাম মানিক ভান্ডার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫২ শতক জমিতে ৭ হাজার ড্রাগন গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় হোসেনের বাগানের পথচলা।
এ পর্যন্ত ড্রাগন চাষে তাঁর মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ টাকা। এরই মধ্যে ফল বিক্রি করে আয় করেছেন এর তিনগুণ অর্থ। বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে গাছে গাছে ড্রাগন ফল শোভা পাচ্ছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন ফল সংগ্রহ করা যায়। পরিপক্ক ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে তৈরি করা হয় নতুন চারা। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে মালটা, কমলা, লেবুসহ মৌসুমি নানা ফল ও সবজির চাষ হচ্ছে। আব্দুল আহাদের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন জুবায়ের, সাজল ও আতর আলীসহ অন্যান্য শ্রমিক বাগানের পরিচর্যা করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম জানান, জহুর হোসেনের মতো অনেকেই এখন ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল ও সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ফার্মের পরিচালক আব্দুল আহাদ জানান, জহুর যে উদ্যোগ নিয়েছেন দেশে থেকে, সেটা সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনিসহ অন্যরা। স্থানীয়রা বলছেন, জহুর হোসেন ড্রাগন চাষ করে বাড়তি উপার্জনের পথ সৃষ্টির পাশাপাশি কয়েকজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন।
জহুর হোসেন জানান, দু’বারে ফল বিক্রি করে লাভ হয়েছে ২২ লাখ টাকা। এ বছরও ফলন ভালো হয়েছে।