জামালগঞ্জে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ, জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
জামালগঞ্জে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনগণের আন্দোলনের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করে উপজেলার উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সাচনা মার্কাজ মসজিদে জুম্মার নামাজ পরবর্তী সময়ে মুসল্লীগন সাচনা বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে মিছিল করেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও পাড়া-মহল্লা থেকে আলেম-উলামা, মুসল্লি ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ধর্মপ্রাণ হাজার-হাজার মানুষ খন্ড খন্ড মিছিলসহকারে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ গেট প্রাঙ্গণে সমবেত হন। সেখানে শায়খ মাও. আব্দুল কাদির এর সভাপতিত্বে ও মাও. মাছরুফের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, শেরমস্ত পুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শায়খ আব্দুল কাদির, নয়াহালট মাদ্রাসার মুহতামিম দেলাওয়ার হোসাইন, কুকড়াপশী মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আলী আকবর, দারুস সুন্নাহ মাদানিয়া মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা আলতাফুর রহমানসহ হাফিজ আলাল উদ্দিন, হাফিজ মাওলানা মাছরুফ আহমদ, মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম, মাওলানা মারুফ আহমদ, মাওলানা বায়েজিদ আহমদ,আব্দুল মতিন ,নূরে আলম ফরাজী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা ইসরাইলকে উগ্র-সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে ফিলিস্তিনের মুক্তির পক্ষে ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তারা আরো বলেন, মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস কর্তৃক মুসলিমদের প্রথম কাবা আল আকসা রক্ষায় “তুফান আল আকসা” মিশনের অংশ হিসেবে ইসরায়েল রকেট হামলা করে। এরই জের ধরে গাজায় ব্যাপক হত্যা ও বর্বরতা চালায় ইসরায়েলী সৈন্যরা। এতে বেসামরিক লোকজন, নারী শিশুসহ চারশতাধিক এর উপরে নিহত ও সহস্রাধিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। দখলদার ইসরায়েল আমাদের প্রথম কেবলা দখল করার পাঁয়তারা করছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এটাকে ওয়ার ইন ইসরায়েল বলছে। তারা চায় গাজা থেকে চিরতরে মুসলিমরা সরে যাক। আমাদের প্রথম কেবলা তারা দখল করে নিতে চায়। আমরা মুসলিম হয়েও তাদের সাহায্য করতে পারছি না। আজকের এ বিক্ষোভ মিছিল থেকে আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি। বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যদি মুসলিমরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তাহলে আমাদের দেহও যেন আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তার নিজ অবস্থান থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে একজন মুসলিম আক্রান্ত হলে আমাদের দেহ’ই আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করি। আজকের বিক্ষোভ থেকে আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাংলাদেশে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যত পণ্য আছে সেগুলো বর্জন করার আহবান জানান। অবিলম্বে এ দেশ থেকে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্বব্যাপী শান্তির জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।