বন্যার ক্ষতচিহ্নে আজও দৃশ্যমান সিলেট-ছাতক রেলপথ:মেরামতে নেই উদ্যোগ

সমুজ আহমদ, বিশ্বনাথ থেকে:
২০২২সালের ভয়াল বন্যার হাজারো ক্ষতচিহ্ন নিয়ে যেন ডাস্টবিন পড়ে আছে সিলেট -ছাতক রেলপথ! মেরামতে নেই কোন উদ্যোগ কর্তৃপক্ষের। এতে করে রেল পথটি স্বাভাবিক হবে, না চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে এ নিয়ে রয়েছে সর্বমহলে অনিশ্চয়তা। জনমনে দেখা গিয়েছে ক্ষোভ হতাশা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় সিলেট হতে ছাতক পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি১৯৫৪ সালে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ করার পর থেকে এই রেলপথটিতে তার আপন গতিতে ট্রেন চলাচল শুরু করে।
উক্ত লাইনে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ট্রেন এ অঞ্চলের যাত্রীদের সেবায় একনিষ্ঠ ছিল।ট্রেনে প্রায় ৪৫ মিনিটে ছাতক হতে সিলেট পৌঁছাতেন মানুষজন।সিলেট হতে ছাতক পৌঁছাতে ট্রেন পথিমধ্যে খাজাঞ্চি -সৎপুর – আফজলাবাদ এই তিনটি ষ্টেশনে যাত্রাবিরতি করে।এই সব ষ্টেশন থেকে এলাকার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ সিলেটে আসা-যাওয়া করতো।সিলেটে পৌঁছাতে এক সময় এই ট্রেনই ছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন। কিন্তু দূর্ভাগ্য ১৯৮৬ সাল থেকে এই রেলপথে মন্দাভাব দেখা দেয়।শিল্পনগরী ছাতক থেকে চুনাপাথর, সিমেন্ট, স্লীপার,বালু, বোল্ডার পাথর দেশে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো রেলপথে।
করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের বন্যায় রেললাইন একাধিক জায়গায় উপড়ে গিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেই রেললাইন আদৌ কি মেরামত হবে দাবী ভুক্তভোগী যাত্রীসাধারণের। ট্রেনে যাতায়াতকারী কবির মিয়া সাংবাদিককে বলেন,বন্যার ক্ষতচিহ্ন নিয়ে সিলেট-ছাতক রেললাইন আজ দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জানিনা কোন অযুহাতে রেল কর্তৃপক্ষ মেরামতের উদ্যোগ নিতে এতো বিলম্ব করছে।