সিলেটে আরেক ইতিহাস: আরিফকে নগর ভবন থেকে বাসায় পৌঁছে দিবেন মেয়র ও কাউন্সিলররা
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেট রির্পোট
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি মোটেই বন্ধুভাবাপন্ন নয়। সরকার এবং বিরোধীদল এক সাথে বসাতো দুরের কথা সামাজিক এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানে একসাথে বসতে তারা বিব্রতবোধ করেন। যে কারণে জাতীয় জীবনে আমাদের সমস্যার অন্ত নেই।
সিলেট বাংলাদেশের অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা। এখানের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুনাম বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।
সিলেটের উন্নয়নে কিংবা যে কোন সমস্যায় সকল রাজনৈতিক দল এক সাথে এক টেবিলে বসতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি,জামায়াত এবং জাতীয় পার্টি কোনো ভেদাভেদ নেই।
কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাগরিক বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
আজ ৭ নভেম্বর সিলেটে আরেক ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম হচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছ থেকে বেলা আড়াইটায় দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এরপর নগরভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে সুধি সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
সুধি সমাবেশ শেষে নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে কাউন্সিলররা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে তাঁর বাসায় পৌঁছে দিবেন। বিরোধীদলের একজন বিদায়ী মেয়রকে সরকারীদলের নবনির্বাচিত মেয়র এভাবে সম্মান জানানো ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে ইতোপূর্বে ঘটেনি।
পর্যবেক্ষক মহল বলেছেন সিলেটের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা যদি জাতীয় জীবনে চালু করা যায় তবে বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ সমস্যার সমাধান খুব সহজে হয়ে যাবে।