বৃষ্টিতে বিশ্বনাথে কৃষকের চোঁখেমুখে হতাশায় ছাপ

সমুজ আহমদ সায়মন, বিশ্বনাথ থেকে
ঘুর্ণিঝড় নিধিলির প্রভাবে বৃষ্টিতে বিশ্বনাথ উপজেলায় শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় রয়েছেন কৃষকেরা। অনেক জমিতে জমেছে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি।
এতে শীতকালীন সবজি শিম,আলু,মুলা,লালশাক,বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, বেগুন টমেটো সরিষা,লাউসহ বিভিন্ন জাতের রোপিত শীতকালীন সবজির ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা। অসময়ে এমন দুর্যোগে ফসলের ক্ষতিতে চাষীদের চোঁখেমুখে শুধু হতাশার ছাপ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।প্রতি বছর উপজেলার সবচেয়ে বেশি সবজি চাষাবাদ হয় খাজাঞ্চি ও অলংকারী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মাঠে।এখানকার চাষীরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও দেশের অন্যান্য স্থানে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন।কিন্তু অসময়ে এই বৃষ্টির ফলে সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ায় এবার লক্ষ্য পূুরণ নিয়ে শংশয়ে রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
টমেটো ও আলু চাষী জাহিদ বলেন,ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে অতিরিক্ত পানি জমায় এবং পরে রোদ ওঠার সাথে সাথে আলু ও টমেটোর চারা নুয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে করে আমার প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
খালেদ মিয়া বলেন,ঋণ করে এক বিঘা জমিতে মুলা,বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছি। এই সবজির আয় থেকে ঋণ পরিশোধ ও পরিবারের খরচ বহন করি কিন্তু বৃষ্টির কারণে আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন আর সবজি লাগানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।এমতাবস্থায় কৃষি অফিস কর্তৃক ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা পেলে হয়তো আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক জানা যায় এ বছর রবি মৌসুমে উপজেলায় ৩৭১৭ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২৫০ হেক্টর জমিতে বপন হয়েছে এবং বাদ বাকী চলমান রয়েছে।