হবিগঞ্জ-৪ আসনে গণমানুষের নীরব ভোট বিপ্লব, ব্যারিস্টার সুমন বিজয়ী
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জ-৪ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এখানে নৌকার সামনে দাঁড়াতেই পারেননি অন্য কোনো প্রার্থী। তবে এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো সাড়া ফেলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুপরিচিত মুখ ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। টানা দু’বারের এমপি নৌকার প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে হারিয়ে প্রায় লাখ ভোটের ব্যবধানে দল-মত নির্বিশেষে গণমানুষে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। জনতার রায়ে চুনারুঘাট -মাধবপুর নীরব ভোট বিপ্লব ঘটে গেল। হবিগঞ্জ ৪ আসনের মানুষ তাদের আগামী দিনের কান্ডারি হিসেবে এমন একজনকেই বেছে নিলেন। ভোট গণনা শেষে রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তাঁর নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।
চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা নিয়ে হবিগঞ্জ-৪ আসন। এই দুই উপজেলা মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ১৭৭টি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফল ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়লে ছোট-বড় মিছিল বের হয়। বড় স্ক্রিনে ভোটের ফল দেখতে শত শত মানুষ উপজেলা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হাজির হন। এর আগে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে রবিবার সকাল ৮টায় এ দিন চুনারুঘাটের হাজী ইয়াছিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ব্যারিস্টার সুমন। একই কেন্দ্রে ভোট দেন তাঁর মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। সকাল পৌনে ৮টায় বাবার কবর জিয়ারত করে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
গতকাল সারাদিনই এ আসনে সুষ্ঠুভাবেই ভোট গ্রহণ হয়।শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবমুখর ভোটদান দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সুমন। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ব্যারিস্টার সুমন ও মাহবুব আলী ছাড়াও হবিগঞ্জ-৪ আসনে আর যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাঁরা হলেন, জাতীয় পার্টির আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রাশেদুল ইসলাম খোকন (ছড়ি), ইসলামী ঐক্যজোটের আবু সালেহ (মিনার), ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ আব্দুল মমিন (চেয়ার), বিএনএমের মোখলেছুর রহমান (নোঙ্গর) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আল আমিন (ডাব)।