জৈন্তাপুরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় ইসকনকে সন্ত্রাসী সংঘটন আখ্যা দিয়ে অনতিবিলম্বে তা নিষিদ্ধসহ শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃঞ্চভাবনামৃত সংঘ ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃঞ্চ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে তার অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী হামলা ঘটায়। এতে মসজিদ ভাংচুরের পাশাপাশি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীর করুণ হয়।
এ ঘটনায় সারাদেশের ন্যায় জৈন্তাপুর উপজেলার তাওহিদী জনতা তীব্র ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৩:০০ উপজেলার স্বর্বস্তরের তাওহিদী জনতা ঐতিহাসিক বটতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দারুল হাদিস জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম লামনীগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা আব্দুল জব্বার (দাঃ বা) ও নিজপাট আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা আব্দুল হামিদ (দাঃবা)।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর জৈন্তাপুর সহ সারাদের তৌহিদী জনতা সংখ্যালঘুদের বাসাবাড়ী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা দিয়েছে। কিন্তু তার প্রতিদান হিসেবে এই সন্ত্রাসী সংঘটন ইসকন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে মসজিদ হামলা করেই ক্ষ্রান্ত হয়নি বরং একজন নিরপরাধ আইনজীবী এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
যেখানে বর্তমানে দেশের তৌহিদী জনতা সম্প্রতির এক সমাজ গড়তে হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপজাতিদের নিয়ে বাসবাসের উপযোগী একটি রাষ্ট্র বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় কিছু আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ইসকন নামীয় এই সন্ত্রাসী সংঘটনটি মসজিদ ভাংচুর সহ হত্যাকান্ড চালিয়ে দেশকে অশান্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ সময় বক্তারা অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইসকন নিষিদ্ধের পাশাপাশি আইনজীবী এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি বাস্তবায়নের আহবান জানান।
এ সময় সমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা নজরুল ইসলাম।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন,মাওলানা বশির আহমদ,মাওলানা আব্দুশ শাকুর,মৌলভী শাকির আহমদ,মাষ্টার ইকবাল হুসাইন, মাওলানা রায়হান আহমদ,আল-আমিন ইমন,জসিম উদ্দিন, মাওলানা আলি আহমদ,আবদুল্লাহ রাজু,মাওলানা আব্দুল মুসাব্বির, মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন জামিল,মাওলানা কবির আহমদ খান,মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রাহমান, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ও মাওলানা আব্দুল জাব্বার সাহেব সহ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার মুহতামিম, বিশিষ্ট আলেম,ব্যাবসায়ী এবং বিভিন্ন পেশার তাওহিদী জনতা।
সমাবেশ পরে জৈন্তাপুর ঐতিহাসিক বটতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের বাসষ্টেশন এলাকায় এসে শেষ হয়।