গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ
গাজার পুনর্গঠনের জন্য মিশরের প্রস্তাব আরব লীগ সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাবটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার একটি বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে ৫৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে গাজার পুনর্গঠন এবং শাসন ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন করা হবে।
মঙ্গরবার (৪ মার্চ) আরব লীগের সম্মেলনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি আহ্বানে কায়রোতে আয়োজিত সম্মেলনে প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার ঘোষণা দেন এবং হামাস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে। সিসি সম্মেলনের শুরুতে বলেছেন, ট্রাম্প ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
মিশরের প্রস্তাবটি তিনটি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়টি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা, যেখানে ছয় মাসের মধ্যে গাজার অবকাঠামো পরিষ্কার করে দুই লাখ অস্থায়ী আবাসন ইউনিট তৈরি করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে, গাজার সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর পুনর্নির্মাণ এবং স্থায়ী আবাসন নির্মাণের কাজ হবে। তিনটি পর্যায়ে মোট ৫৩ বিলিয়ন ডলার খরচের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩ বিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ বিলিয়ন ডলার এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।
এদিকে গাজায় শাসন ব্যবস্থার দায়িত্বের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। মিশরের প্রস্তাবে হামাসের পরিবর্তে স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি দল গঠন করার কথা বলা হয়েছে, যা গাজার প্রশাসন পরিচালনা করবে। তবে ইসরায়েল স্পষ্ট করেছে, তারা হামাসকে গাজা শাসনের অনুমতি দিবে না।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিপরীতে মিশরের প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এখনও ট্রাম্পের পরিকল্পনাকেই সমর্থন জানাচ্ছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার পরিস্থিতি এখন বাসযোগ্য নয় এবং তারা একটি হামাস মুক্ত গাজা দেখতে চান।
এদিকে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা