মৌলভীবাজারের শমশেরনগর বিমানবন্দর চালু হচ্ছে

দৈনিকসিলেটডেস্ক
দেশের আরও কয়েকটি বিমানবন্দরের পাশাপাশি শমশেরনগর বিমানবন্দরটিও চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই বিমানবন্দরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের । এরপর গত ৫৬ বছর ধরেই এই বিমানবন্দরটি বলতে গেলে বাণিজ্যিকভাবে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
বিমানবন্দরটি অবস্থিত বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায়।
১৯৪২ সালে এই বিমানবন্দরটি তৈরি করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। মূলতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহারের জন্যই তারা এটি প্রতিষ্ঠা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মজুত রেখেছিল। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রাসায়নিক অস্ত্র। বিশেষ করে ১৮টি রেলওয়াগন বোঝাই ১০০০ পাউন্ড বোমার সায়ানোজেন ক্লোরাইড মজুদ করার বিষয়টি বহুল আলোচিত।
জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬১তম এয়ার সার্ভিস গ্রুপ ছিল এই বিমানবন্দর। বর্তমানে বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও শমশেরনগর ছিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম যুদ্ধ ঘাঁটি।
তারও আগে ১৯৭০ সালে পাকিস্তান বিমানের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দর থেকে উড়ার পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শমশেরনগর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণকালে রানওয়ের কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৭জন।
১৯৯৫ সালে বেসরকারিভাবে অ্যারোবেঙ্গল এয়ার সার্ভিসের ফ্লাইট চালু হলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়।
প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার সচেতন মহল বিমানবন্দরটি চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন বহুদিন ধরে। বর্তমান সরকারের এই সিদ্ধান্তের সংবাদ প্রকাশিত হলে মৌলভীবাজারজুড়ে আনন্দের ঢেউ বইছে।
বিমান বন্দরটি চালু হলে এটিকে কেন্দ্র করে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠবে ও এ এলাকার যাত্রীদের যাতায়াত সুবিধা বাড়বে বলে অনেকেই মনে করছেন।