মাধবপুরে স্কুলে নেই শৌচাগার, যেতে হয় অন্যের বাড়িতে!

নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্কুলে এখন ৩শ জন ছাত্র ছাত্রী এবং ৫জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কিন্তু শৌচাগার নেই।
স্থানীয়দের একাংশের কথায়, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তা-ও আড়ালে আবডালে যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষিকাদের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।ফলে স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে গিয়ে শৌচাগারের কাজ সাড়তে হচ্ছে।যা শিক্ষক,শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত বিব্রতকর বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।”
মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির ফতেহগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত এক বছর ধরে এমনই দুর্ভোগ পাহাচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্কুলের পুরাতন বিল্ডিং ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরু করায় এক বছরেও নির্মাণ হয়নি কোন ব্লগওয়াশ কিংবা কিন্তু শৌচাগার।”
উপজেলার ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার ও ওয়াশব্লক থাকলেও ওই স্কুলটিতে নেই কোন শৌচাগারও।এতে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশও।স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকার পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দায়ের করা হয়েছে আবেদনও।বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।”
স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বেগম জানান, শৌচাগারের প্রয়োজন পড়লেও আগে লজ্জায় কোনও বাড়িতে যেতাম না। কষ্ট করে থাকতাম।এখন আমাদের বাধ্য হয়ে যেতে হয়।এ বিষয়টি দ্রুত একটি ফয়সালা হবে এই প্রত্যাশা আমাদের।”
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী তুষার পাল জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি কোন প্রকল্পে দেয়া যায় কিনা খোজ খবর নিয়েছি। তবে জুনের আগে কোন প্রকল্পে দেওয়া এটিকে সম্ভব হচ্ছে না। এরপরেও বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখব।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে ছয় মাস আগেও আমরা জনস্বাস্থ্য অফিসকে অবগত করেছি। তবে অস্থায়ীভাবে একটি শৌচাগার নির্মাণ করা হলেও কি অবস্থা সেটির জানিনা।”
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাসেম জানান, ছুটিতে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছি তবে অত্যন্ত দুঃখজনক। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা তা দেখা হবে।”