প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন
ছাত্র রাজনীতি ও র্যাগিং মুক্ত লিডিং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস
সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার ২০২৫ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগীব আলী ভবনের গ্যালারী- ১ এ আলোচনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটিকে পুরোপুরিভাবে ছাত্র রাজনীতি ও র্যাগীং মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং নবীন ক্লাস প্রতিনিধিদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্ত বুদ্ধি চর্চার জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে মানবিক ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও র্যাগিং বন্ধ করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং পুরোপুরি নিষিদ্ধ। সে জন্য ক্লাস প্রতিনিধিদেরকে কোন রকমের সংকোচ এবং ভয় না করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাইরে এধরনের কিছু হলে প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানানোর পরামর্শ দেন।তিনি বলেন, ক্লাস প্রতিনিধি হিসেবে এ দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। তথ্য প্রদানকারী শিক্ষার্থীর যাবতীয় গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নবীনদের এটা মনে রাখতে হবে যে তারাই একদিন সিনিয়র হবে। তাই জুনিয়র এবং সিনিয়র এর মধ্যে একটি সৌহার্দ ও ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু পরিবেশে লিডিং ইউনিভার্সিটি এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা রেখে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন তা পূর্ণতা লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
‘র্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ এটি মজা করার বিষয় নয়’ উল্লেখ করে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা আজ বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধিদের সাথে একত্রে বসেছি। আশা করি এ বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবে। র্যাগিং এর বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় র্যাগিং প্রতিহত করতে প্রক্টরিয়াল বডি বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির স্বীকার হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আহবান জানান এবং এ সকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর কাজী মো. জাহিদ হাসানের উপস্থাপনায় এতে সহকারি প্রক্টর ইঞ্জিনিয়ার অমিত চক্রবর্তী, ড. ফজলে এলাহী মামুন, জয়নব সরকার, আশ্রাফ উদ্দিন এবং সৈয়দা তামান্না আলম মনিশা উপস্থিত ছিলেন।