সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাথর লুটের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
সাদা পাথর লুটের ঘটনায় পাথর লুটেরা চক্রের আসামি ১) মোহাম্মদ কামাল মিয়া, পিচ্চি কামাল (৪৫) পিতা-মৃত সিকন্দর আলী, গ্রাম-কালাই রাগ, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট ২) মোঃ আবু সাঈদ (২১) পিতা- কামাল মিয়া, সাং-কালাই রাগ, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট (৩) মোঃ আবুল কালাম (৩২) পিতা-মৃত মনফর আলী, সাং নাজিরের গাও, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেটকে তাদের বাড়ী থেকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্রাশ করা সাদা পাথর ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় চেকপোস্টে (৪) ইমান আলী (২৮)পিতা শহীদ মিয়া, সাং-লাছু খাল, থানা -কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট (৫) জাহাঙ্গীর আলম( ৩৫) পিতা-শহীদ মিয়া, সাং লাচু খাল, থানা কোম্পানীগঞ্জ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। তবে গ্রেপ্তারদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
এর আগে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। শুক্রবার রাতে মামলা করেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কিছু দুষ্কৃতকারী গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ এবং অননুমোদিতভাবে কোটি টাকার পাথর লুটপাট করছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এজাহারে আরও বলা হয়, সরকারি গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে এ ধরনের লুট বা চুরি খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারার অপরাধও সংঘটিত হয়েছে।
পাথর লুটে জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্রেখ্য, সিলেট থেকে লুট হওয়া আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে এক বছরে সিলেট থেকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য দুইশত কোটি টাকার বেশি।