অস্ট্রেলিয়ায় বন্দুকধারীর গুলিতে ২ পুলিশ সদস্যের মৃ/ত্যু
অস্ট্রেলিয়ায় বন্দুকধারীর গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, মেলবোর্ন থেকে প্রায় ২০০ মাইল উত্তর-পূর্বে অবস্থিত পোরেপাঙ্কাহ নামক একটি গ্রামীণ শহরে আজ মঙ্গলবার একটি বড় ধরনের পুলিশি অভিযান চলছিল। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা এবিসি নিউজ এই খবর জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে আলপাইন শায়ার কাউন্সিলের মেয়র সারা নিকোলাস দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভিক্টোরিয়া পুলিশ আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে মিডিয়াকে একটি আপডেট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে তারা এখনও এই তথ্য নিশ্চিত করেনি।
এক বিবৃতিতে মেয়র সারা নিকোলাস বলেছেন, ‘স্থানীয়দের জন্য আজ একটি আবেগপ্রবণ বিকেল। আমরা শোকাহত। তিনি নিহত অফিসারদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পুলিশকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তারা সাহস, করুণা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, ‘ভিক্টোরিয়া পুলিশের কমিশনার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।’ তবে তিনি গুলির ঘটনা বা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তিনি পুলিশ সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রতিদিন পুলিশ সদস্যরা যে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেন, আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
অস্ট্রেলিয়ায় বন্দুক সহিংসতা খুবই বিরল। ১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ায় এক গণহত্যায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার পর দেশটির সরকার বাধ্যতামূলকভাবে আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে, যার ফলে জনসাধারণের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। যদিও এমন ঘটনা এখন বিরল, তবুও চলতি বছরের জুন মাসে তাসমানিয়ায় একটি বাড়ি দখলে নিতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা গুলিতে নিহত হন।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ মেমোরিয়ালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত (জুনের ঘটনাসহ) ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত পোরেপুঙ্কাহ একটি ছোট পর্যটন শহর। ১ হাজার ৩০০ মিটারেরও বেশি উঁচু একটি শৃঙ্গ ‘মাউন্ট বাফেলো’ শহরকে ঘিরে রেখেছে। এদিকে পোরেপুঙ্কাহ বিমানবন্দরের ওয়েবসাইট অনুসারে, চলমান জরুরি প্রতিক্রিয়ার কারণে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূূত্র : বিবিসি