নবীগঞ্জে স্কুলের অফিস সহকারীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ঘোলডুবা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মাসুম পারভেজের বিরুদ্ধে একের পর এক অনৈতিক কর্মকাণ্ড, অসদাচরণ, ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইল ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কৈলং গ্রামের বাসিন্দা মাসুম পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে ঘোলডুবা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত। চাকরির সুবাদে নবীগঞ্জে বিয়ে করলেও অপকর্মের কারণে তার স্ত্রী সংসার ত্যাগ করেন। এমনকি স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন। অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রী না থাকায় একা বসবাসকালে স্কুলছাত্রীসহ বিভিন্ন মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, গোপনে ভিডিও ধারণ করে শিক্ষার্থীদের ব্ল্যাকমেইল করার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযুক্ত পারভেজের কারণে বহু শিক্ষার্থীর জীবন বিপর্যস্ত হলেও সামাজিক মর্যাদার ভয়ে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে পারছেন না। সম্প্রতি ভিডিও ফাঁস হওয়ায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা ম্যানেজিং কমিটি প্রথমদিকে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আব্দুর রকিব বিষয়টি ধামাচাপা দেন। তিনি দাবি করেন, ভিডিওটি পাঁচ বছর আগের এবং ধর্ষণের ঘটনাটি আপোষে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আব্দুর রকিবের শেল্টারেই পারভেজ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি সম্প্রতি একটি মামলায় ৩৫ দিনের কারাভোগ শেষে তিনি আবার স্কুলে বহাল তবিয়তে যোগ দেন। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি নেতা রকিবের প্রভাবে তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি রকিব পারভেজকে শেল্টার দিচ্ছেন ফলে মাসুম অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদিন বলেন, ঘটনাটি জানার পর মাসুম পারভেজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, মাসুম পারভেজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বারবার বিষয়টি জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী রিমা আক্তার বলেন, এই লম্পটের কারণে আমাদের স্কুলের ছাত্রীরা হুমকির মুখে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। অন্যতার তারা বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ।
অভিযুক্ত মাসুম পারভেজের দাবী একটি ভূল হয়েছিলো সেটি সাবেক সভাপতি রকিব ভাই সমাধান করেছেন। এখন কারা জানি ষড়যন্ত্র করে ফেইসবুকে দিছে।