বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ৫০-৬০ বার চড়, ভিডিও ভাইরাল
ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ প্রদেশের অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে তার সহপাঠীরা ৫০-৬০ বার থাপ্পড় মেরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম শিখর মুকেশ কেশরওয়ানী। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ২৬ আগস্ট ঘটনাটি ঘটে। তবে সম্প্রতি এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। খবর এনডিটিভির।
ঠিক কী কারণে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্ত্য করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী শিখরের বাবা মুকেশ কেশরওয়ানী-এর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এতে আয়ুষ যাদব, জানভি মিশ্রা, মিলয় ব্যানার্জি, বিবেক সিং এবং আর্যমান শুক্লা- নামের পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মুকেশ কেশরওয়ানী জানান, তার ছেলে অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালহাউর ক্যাম্পাসে বিএ এলএলবি পড়ে। এ ঘটনার পর সে মানসিকভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে সে আর কলেজে যায় না।
তিনি জানান, ২৬ আগস্ট সকালে শিখরকে তার বান্ধবী সৌম্য সিং যাদব হানেমান চৌরাহা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। ক্যাম্পাসের পার্কিং লটে পৌঁছানোর পর অভিযুক্তরা সেখানে এসে জানায় যে তারা শিখরের সঙ্গে কিছু কথা বলতে চায়। এরপর তারা সৌম্যার গাড়িতে ওঠে এবং প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে শিখরকে হুমকি, গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতন করে।
মুকেশ বলেন, ‘আমার ছেলের গত ১১ আগস্ট লিগামেন্ট সার্জারি হয়। এরপর থেকে সে লাঠি নিয়ে হাঁটছিল আর এ অবস্থায় জানভি মিশ্রা ও আয়ুষ যাদব তাকে তাকে ৫০-৬০ বার থাপ্পড় মারে। আমাকে ও আমার স্ত্রী-পরিবারকে কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি হত্যার হুমকিও দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার সময় বিবেক সিং ও মিলয় ব্যানার্জি পুরো ঘটনা ভিডিও করে এবং সেটি ক্যাম্পাসে ভাইরাল করে দেয়।তারা আমার ছেলের ফোনও ভেঙে ফেলে। আমি যখন কলেজে গিয়ে অভিযোগ জানাতে চাইলাম, তখন আমাকেও হুমকি দেয় যে আমি যেন আর কখনও কলেজে না আসি, নইলে আমাকেও আমার ছেলের মতো মারধর করা হবে। ’
ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।