গ্রাম্য সালিশ ও চোখে দেখা কঠিন বাস্তবতা
দৈনিক সিলেট ডট কম
এডভোকেট নূরে আলম সিরাজী:যুগে যুগে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সালিশ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সমাজের নানা অসঙ্গতি অন্যঅয়-অবিচার দূর করতে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক বিচার ব্যবস্থা মানুষকে অনেক শান্তি স্বস্থি ও নিরাপদ করেছে। আর এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে সমাজহিতৈষী কিছু সালিশ ব্যক্তিদের জন্যে। স্বেচ্ছাসেবামূলক এসব কাজে নিজের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতার প্রকাশ ঘটিয়ে সালিশিরা নিজেদের গৌরবান্বিত মনে করতেন। কিন্তু সময়ের সাথে মানুষের মানসিকতারও অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখন সালিশ বৈঠকে বসার আগে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি কোন না কোনভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়েন। ন্যায় নীতিকে অবজ্ঞা করে পক্ষপাতদুষ্টে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এতে ব্যক্তি সাময়িক উপকৃত হলেও বিচারের বাণি যেন নিভৃতে কাঁদে। মানুষ সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই তাদের জন্য যেমন আইন আদালতের দরজা খোলা রয়েছে ঠিক সেভাবে সালিশ বিচার ব্যবস্থাও পাশে রয়েছে। সামাজিক বিচার পদ্ধতির একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এই পদ্ধতি যুগে যুগে বাঁচিয়ে দিয়েছে দিশেহারা অনেক মানুষের প্রাণ। রুখে দিয়েছে হিংসা বিদ্বেষ সংঘাত ও অরাজকতাকে। ইনসাফ ভিত্তিক বিচারের সেই ঐতিহ্যকে আমাদের লালন করতে হবে।
স¤প্রতি সালিশ বিচার এর কার্যক্রম ও পক্ষগণের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা নিয়ে কতিপয় সুযোগ সন্ধানী মহল ও তাদের উত্তরসূরিরা যেভাবে প্রকৃত একটি ঘটনাকে বিকৃত করে মনগড়া বানোয়াটভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ালেন। তা কোন সমাজেই কাম্য হতে পারে না। একটি মহল বিবেক বিবেচনা বিবর্জিত হয়ে অত্যান্ত নির্লজ্জভাবে অতীতের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ঝেড়ে বিষোদগার করছেন। অপ্রাসংঙ্গিক ঘটনার সাথে ঘটনার রেশ টেনে দুধের তৃপ্তি পানিতে মেঠানোর মত শান্তনা খোঁজে বেড়াচ্ছেন। এই যারা বা যার ইন্দনে এসব করে বেড়াচ্ছেন তারা প্রকৃত পক্ষে অপরাধীদেরকেই আস্কারা দিয়ে ভালমন্দের বিচারে জেনে বুঝেই মন্দকেই বেছে নিয়েছেন তা এই সমাজের সচেতন মহলের বুঝতে বাকী নাই।
সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা, ভূলবুঝাবুঝি ব্যক্তির দ্ব›দ্ব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির বিরোধ হতেই পারে। আর এসব বিরোধীয় বিষয়গুলো সর্বক্ষেত্রে সরকারী কোর্ট কাচারী পর্যন্ত গড়াতে হয় না আমাদের সমাজের কিছু হিতৈশী ব্যক্তিবর্গের কারণে। এই হিতৈষী গুনিজন তাদের স্বার্থকে অনেকাংশে জলাঞ্জলী দিয় জনমুখী ও কল্যাণকর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে এসব বিষয় নিষ্পত্তিতে বেশিরভাগ সফলতার কারণেই সমাজ একটি বিধিবদ্ধ নিয়মের গন্ডির ভিতর আর্বততি হয়। এই ক্ষেত্রে ফরিয়াদী বনাম বিবাদীর অধিকার সুরক্ষায় সমাজ হিতৈষী শালিশানগণকে অত্যাধীক সচেতন থাকতে হয়। কিন্তু অপরাধের ধরন যদি হয় সমাজ বিরোধী যে অপরাধের কারণে পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা সেই ক্ষেত্রে আসামীদের অনেক অধিকার খর্ব করেই আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেখানে ভুল করা যাবে না কেননা ভুল করলেই সমাজকে চরম মূল্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে । সমাজের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায় এই জন্য এর হিসাবে নিকেশ সম্পূর্ণ আলাদাভাবে করতে হয়। গ্রাম্য শালিস বা সামাজিক বিচার ব্যবস্থা প্রচলিত আইনের বাহিরে নয় বরং আইনের দ্বারা ইহা একটি স্বীকৃত বিচার ব্যবস্থা। প্রচীনকাল থেকেই ইহার রেওয়াজ চলে আসছে। গ্রাম্য শালিস বা সামাজিক বিচার ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা অর্জন একটি অন্যতম প্রধান শর্ত এবং পক্ষগণকে শালিসের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ইহা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি প্রাথমিক ধারনার উপর ভিত্তি করে বিচার কাঠামো তৈরী করা একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা অনুসরণ করে পক্ষগণের ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের বক্তব্য আত্মস্থ করা আলামত যাচাই ও অন্যান্য অনুসাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা বিচারিক বিষয়গুলো চিহ্নিত করা এর বিচার সব দিক বিশ্লেষণে ইহার মুল উৎপাঠনের জন্য একটি স্বনির্ভর বাস্তব ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় কিছুসংখ্যক স্বার্থভোগী শালিস বিচারী নামদারী ভাড়ায় খাটা ব্যক্তির তুচ্ছ ও হীনঃস্বার্থের প্রাধান্যের কারণে এই সহজ সরল প্রন্থাগুলোকে অনেক ক্ষেত্রে জটিল করে ফেলা হয়। বিচার প্রার্থী মানুষগুলোকে চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। চরম হতাশায় মানুষ দিকভ্রান্ত হয়ে যায়। সমাজে কলহ ও অশান্তির বিস্তার ঘটে। সমাজ অশুভ পরিণতির দিকে ধাবিত হয়।
ভাড়ায় খাটা পেশাদার শালিসান যাদের অন্য কোন পেশা নাই। এদেরকে দিয়ে সঠিক শালিস বিচার আশা করা যায় কিনা সেটা সবাই ভাল বুঝেন। এরা আবার এক পক্ষের ভাড়া নিয়ে ক্ষান্ত থাকে না। প্রকারান্তরে সকল পক্ষের পকেট হাতিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষেরই আর থাকে না। ব্যাপারটি একে বারেই খোলামেলা। তারপর আছে আমানতের ব্যাপার। এই আমানত তছরূপকারী শালিসানরা কখনই চাননা শালিস শেষ করতে, কারণ এতে তাদেরকে আমানত ফেরত দেওয়ার মতো কঠিন একটি বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় আর এসবের কারনেই মূলত গ্রাম্য শালিস বা সামাজিক বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার ঘনত্ব একেবারেই নিম্নপর্যায়ে চলে আসছে। এ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে । ভাল জ্ঞানিগুণি ব্যক্তিত্বশালী সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের তার জন্য এগিয়ে আসা উচিত। আসুননা আর কিছু করতে পারি আর না পারি ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ সু-উচ্চস্বরে বলার চেষ্ঠা করি।
সমাজের ঐসকল নষ্ট কীটগুলোর অবস্থান নিঃস্বন্দেহে মজবুদ নয়। এদের ভীত খুবই ক্ষীনকায়। ঠুনকো ভিত্তির উপর দাড়িয়ে। এদের চেচামেচি ফাকা আওয়াজ বড় হলেও শক্তিশালী নয়। আবার এরা সংখ্যায় কম হলেও অভীন্ন স্বার্থের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ। এদের বাহিরের খোলসে খুবই চাকচিক্য, কিন্তু অন্তসারশূণ্য। এরা বাহারী কথাবার্তায় পারদর্শী কিন্তু পুরোটাই সত্যের অপলাপ মিথ্যার বেশাতি। আমাদের লড়াইটা এদেরই বিরুদ্ধে। সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। মানুষকে বিচারের নামে অবিচার নামক শাস্তির খড়গ হতে মুক্ত করা। আমরা অনেকটাই সফল হতে পেরেছি। এই লেবাছধারী ছদ্ববেশী মুরব্বীদের অপকর্মের বিষয়ে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে। এই নষ্টলোকগুলো আর ধাপটের সাথে যা ইচ্ছা তাই করতে না পারায় মনের ভেতর ক্ষোভ জন্মেছে। এরা গোপনে কঠিন এবং দাগী অপরাধীদের উস্কানি দিয়ে আমাদের এ যৌক্তিক মিশনকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না তাদের দিন শেষ পর্যায়ে। সুদিন আর বেশী দুরে নয়। সুড়ঙ্গের শেষে আলোর ঝলকানি স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। সত্যে উদম্ভাসিত সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবি।
আমি সিলেট জেলা বারের একজন আইনজীবি। পেশাদারিত্বের সুযোগে অনেক অসহায় নির্যাতিত মানুষের জন্যে বিনা ফিসে এমনকি আমার পকেট থেকে উল্টো খরচ করে কাজ করে দিয়েছি। তার অনেক প্রমাণ কোর্টে বিদ্যমান। এদিকে বারের সম্মানিত সদস্যগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০০৪ সালে আমি সর্বাধিক ভোট পেয়ে সিলেট জেলা বারের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জয়ী হই এবং নিজেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখতে সক্ষম হই।
২০০৯ সালে সিলেট জেলা জর্জ কোর্টের ৪র্থ আদালতের সরকারী আইনজীবি (এপিপি) নিযুক্ত হয়ে অনেক পুরোনো ও জটিল মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে মাননীয আদালতকে সঠিকভাবে সহযোগিতা করি। লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে বিচারপ্রার্থীদের আস্তা অর্জনের মাধ্যমে অনেক মামলা নিষ্পত্তি করার নজির স্থাপন করেছি। আমি একটি রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী হিসাবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানুষের ভালবাসা পাওয়ার চেষ্ঠা করেছি। আমার জ্ঞান বিশ্বাসমতে কারও কোন প্রকার ক্ষতি করাতো দূরের কথা কোনদিন চিন্তাও করিনি। নিজের সাধ্যমতো জীবনের বেশিরভাগ সময় ভাগ্যহত নির্যাতিত অসহায় মানুষের কল্যাণে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যয় করেছি। আমার দীর্ঘদিনের পথচলায় মানুষের কতটুকু আস্থা অর্জন করেছি সে বিচারের ভার জনগণের উপর। এই অসহায় সামাজিকভাবে দূর্বল মানুষের উপকার করতে গিয়ে আমি কোন কোন ক্ষেত্রে কতিপয় প্রভাবশালীদের রোষানলে নিপতিত হয়েছি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি কিন্তু নীতি পরিবর্তন করিনি। কোন কোন ক্ষেত্রে রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে একাই সংগ্রাম করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পরাজিত হই নি। এই সমস্ত বিষয়ে অনেকেই আমার কাছে অসহায় আত্মসমর্পন করতে করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেক অনেক বড় লোভনিয় সুযোগ আমাকে হাতছানী দিয়েছে। আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার বিস্তর সুযোগ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। নিজেকে নির্লোভ রেখে এমনকি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েও মানুষের উপকার করেছি। এসবের ভুরি ভুরি নজির আশেপাসেই বিদ্যমান রয়েছে। এই সমস্ত কারণে অসহায় নিষ্পেষিত, নির্যাতিত মানুষ জনের নির্ভরতা পার্শ্বে পাওয়ার ব্যাকুলতা বাড়িয়ে তুলেছে। এই অসহায় মানুষের আবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করার শক্তি আমার নেই। এই আকুলতা আমাকে উদ্বেলিত করে আদোলিত করে আবেগে তাড়িত করে। আমার মন সায় দেয় এই বলে যে এটাই আমার করণীয় দেশের কাজ ধর্ম ও মানবতা এখানেই নীহিত আছে। আর এই অর্থে আমি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন শালিস বোর্ডে সক্রিয় থেকেছি নিরপেক্ষ নির্লোভ এই মহিমায় মহিমাম্বিত হওয়ার প্রত্যাশায় ১৩ জুলাই সালিশ ছিল ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁও গ্রামের তিনজন যুবক কর্তৃক মোগলগাঁও গ্রামের একজন ব্যবসায়ী যুবককে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আক্রমন করে তার পকেট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মানতার মুরব্বিয়ানগণের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের উপর উপস্থিত বিচারকগণ প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেন। বিচার কাঠামো প্রস্তুত করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বে এই আলোচনার রেওয়াজ গ্রাম্য শালিশ বা বিচার ব্যবস্থায় চলে আসছে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী উপস্থিত সাব্যস্থ ও গ্রহণযোগ্য স্বাক্ষ্য প্রমাণ সাপেক্ষে অপরাধের ধারণ ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। তর্ক বিতর্কের মাধ্যমে হামলকারী যুবকদের ব্যবহৃত ছুরি আমানতের ব্যাপারে চাপ দিলে তারা বারাংবার বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। ছুরির ব্যাপারটির অস্বীকার করে এবং কৌশলের আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে একটি স্টিলের পাথ এনে দিয়ে ছুরির বিষয়ে নানান টালবাহানা করতে থাকে। কিন্তু উপস্থিত প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীগণ এর জোরালো প্রতিবাদ করেন। সর্বশেষ আমি হামলাকারী তিন যুবককে আল¬াহ এবং রাসুল (সাঃ) এর দোহাই দেই এবং দুরুদ পড়ে তাদেরকে নমনীয় হতে বললে ও এই সহানুভূতি পাওয়ার সুযোগটিকে যুবকদ্বয় কাজে লাগানোর মনোভাব দেখায়নি। যুবকদেরকে নমনীয় হওয়ার জন্য একসময আমি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ওভয় দেখিয়েছি। কিন্তু এটা আমার মনের কথা ছিল না। কে একজন পুলিশ কে ফোন করতে চাইলে আমি নিজে তাকে বারণ করেছি।
এই শালিসী বিচারে উভয় পক্ষের লোক আমাকে নানান উপায়ে অনুরোধ করেছেন। বাড়িতে এসেছেন, বারবার ফোন করে বিরক্ত করেছেন। মানুষের চাওয়ার মূল্যায়ণ করতে গিয়ে আমার এই বিচারে যাওয়া আমার জ্ঞান বিশ্বাসমতে কোন দিন আমি কারো পক্ষ অবলম্বন করে বিচারে অংশ গ্রহন করিনি বা কোন মতামত দেই নি। এমন নজির কেউ দেখাতে পারবে না। আর এতদিন যা করিনি এই শালিস বিচারে তা প্রশ্নই উঠে না। আমি বানাগাঁওয়ের লোকজন এবং আমার গ্রামের তাদের কিছু আত্মীয় স্বজনের স্বনির্বন্দ অনুরোধে বিষযটি সহজে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এই সুযোগটি কোন কারণে তারা নেয়নি। তারপর আর কি করা। নিয়ম ও প্রথানাযায়ী এই বিচার এক তরফাভাবেই হবে। আর এই পক্রিয়া অনুসরণ করেই আমি প্রস্তাব করছিলাম আক্রমণকারী যুবকগণের আমানত জমা হবে। তাদের ব্যবহৃত ছুরি শালিশ বোর্ডের নিকট জমা দিবে তারপর শালিসানগণ দেখবেন।
এই সিদ্ধান্তের উপর বির্তক আনতেই পারেন। যুক্তি তর্ক করতেই পারেন। পুনঃবিবেচনার প্রস্তাব করতেই পারেন। কিন্তু কতিপয় শালিসানগুণের অনিয়মতান্ত্রিক উক্তির কারনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে পক্ষগণ অনাকাঙ্খিত বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এই অবস্থার দায় কতিপয় শালিসান এড়িয়ে যেতে পারেননা। আর এই ঘটনাকে পুজি করে যেভাবে মুল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে অশ্লীল ও নোংরা ভাষা প্রয়োগ করে রুচিহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। ছড়াচ্ছেন জনমনে বিভ্রান্তি। তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে, তাদেরকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ার দাড়াতে হবে নিশ্চয়।
লেখক: এপিপি সিলেট জেলা বার