ঋতু রানী শরৎ‘এর আগমন
দৈনিক সিলেট ডট কম
ফারজানা মৃদুলা: বর্ষার বিদায় ঘন্টা বাঁজতেই, স্নিগ্ধতা নিয়ে হাজির হয় শরৎ।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এর ভাষায়-
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ার লুকোচুরি খেলা,
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা।
শরৎকে বলা হয় ‘ঋতুর রানী’।
শরৎ মানেই পরিষ্কার নীল আকাশ আর দিগন্তজোড়া সবুজের পসরা। সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে শরৎতের আগমনী বারতা মুগ্ধ করে আমাদের। আর মনে করিয়ে দেয় এই তো আমার সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ
ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে সবচেয়ে বৈচিত্রময় ঋতু হলো শরৎ।
আকাশে কখনো ঝলমলে রোদ, আবার হঠাৎ আচমকা নামে রিমঝিম বৃষ্টি। এই পরিবর্তন যেন শরৎ ঋতুকালকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
মন মাতানো কাশফুল আর শিউলির সখ্যতা যেন ভিন্ন ধারার ।কাশফুল থাকে নদীর তীরে, আর শিউলি থাকে বিশাল গাছে।
নদীর তীরে,এ হাওয়ায় দুলে কাশের বন, এমন মনোরোম দৃশ্য দেখাতে হাজির হয় এই শরৎকাল।
ভোর বেলাতে ঘাসের উপর শুভ্র চাদর বিছিয়ে দেয় শিউলি ফুলের মেলা।আহ্ কি দারুন গন্ধ।
শরৎ নিজেকে সাজিয়ে তোলে কাশফুল আর শিউলি ফুলে!সাদা মেঘের শতদল উড়ে যেন অপরূপ নীল আকাশে দিনভর। গোধূলিলগ্নে সোনালি রঙ্গে রঙিন হয়ে ওঠে আকাশ।কাশফুলের পেনসিল দিয়ে যেন শরৎতের শুভ্র আকাশে লেখা যায় অদৃশ্য কাব্যকথা!
শরৎ শুভ্রতার প্রতীক। নদীর ধারে সাদা কাশবন, শান্ত ভোর বেলাতে শিউলি তলায় গিয়ে ফুল কুড়ানো,নীরব রাতের মায়াবী স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না, আলোছায়ার খেলা দিনভর। এই নিয়েই তো শরৎ।
শরৎতের আগমন এক কথায় অসাধারণ!শরৎ শুভ্রতার প্রতীক।
চোখ যতদূরে যায় সেখানেই সাদা আর কালো মেঘেমালার রাশি। মূহুর্তেই বদলায় রূপ।শিমুল তুলোর মতো মেঘ।
কঠিন এই সময়ে সবাই নতুন করে আবারো যুদ্ধ করে বাঁচতে লড়াই শুরু করেছি। শরৎতের প্রাণবন্ত শোভা দোলা দেক সবার মনে।শরৎ এর স্নিগ্ধতায় সিক্তহোক সকলের মনপ্রাণ