ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রনোদনা যেনো আকাশ কুসুম ভাবনা
দৈনিক সিলেট ডট কম
ফারজানা মৃদুলা: বড় শিল্পপতিদের ভিড়ে যেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুনজরে আনতে চায় না ব্যাংকগুলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার ঘোষিত এসএমই খাতে (বিশ হাজার কোটি টাকার) প্রনোদনা প্যাকেজ এর সুবিধা নাম মাত্র পেয়েছেন কজন।
অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প, তারাও উপকৃত হবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনার পর বাংলার প্রত্যেকটা মানুষকে প্যাকেজের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ঋণ পেতে জটিলতার শেষ নেই।
এই টেবিল ঐ টেবিল হাঁটতে হাঁটতেই সপ্তাহ পাড় হয়ে যায়।কেননা ব্যাংক গুলোর এতশত শর্তের ভীড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ফাইল কখন যে হারিয়ে যায় তা কেউ জানেই না। জটিল শর্তের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ দিতে পারছে না দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকাররা উদ্যোক্তাদের চাহিদার কথাটি মাথায় রেখে শর্ত শিথিলের আহ্বান জানালেও প্রণোদনার অর্থ ছাড়ে ব্যাংকগুলোকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটির কারণে থেমে গিয়েছিলো গোটা জাতি।
দেশের অর্থনৈতিক চাকা একেবারেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলো। পুঁজি ও টিকে থাকার সক্ষমতা কম থাকায় কোভিড-১৯ এর সবচেয়ে বড় ধাক্কা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়।
তবে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা আমরা জানি।কিন্তু এই প্রনোদনার সুফলটা যদি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে পেতো তাহলে করোনাভাইরাসের দখলটা কাটিয়ে কিছুটা মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারতো।
গেলো ঈদুল ফিতরের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র দেওয়া ২৫০০ টাকা কজনই বা পেয়েছেন?
নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধির দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে সাধ মিটে গেছে সেই উপহার দেওয়া ২৫০০ টাকার!
ঠিক তেমনি এখন দশা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেলায়। অনেক আশায় কিছুটা স্বত্বির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন যে,সরকারী প্রণোদনার সুবিধা নিয়ে কম সুদে শোধ করতে পারা যাবে।
কিন্তু দৃশ্যপট আসলেই অন্যরকম
বরং স্বপ্ন ভেঙে এখন অনেক উদ্দোক্তারাই নিঃস্ব।
এই দিকে কবে দৃষ্টি দিবে কর্তৃপক্ষ তা জানা নেই।
হয়ত শত মানুষের মাঝে এই সকল স্বপ্ন বুননের নারী উদ্দোক্তারা পিষ্ট হয়ে যাবে লোকচক্ষুর আড়ালে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রনোদনা যেনো আকাশ কুসুম ভাবনা
ফারজানা মৃদুলা
বড় শিল্পপতিদের ভিড়ে যেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুনজরে আনতে চায় না ব্যাংকগুলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার ঘোষিত এসএমই খাতে (বিশ হাজার কোটি টাকার) প্রনোদনা প্যাকেজ এর সুবিধা নাম মাত্র পেয়েছেন কজন।
অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প, তারাও উপকৃত হবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনার পর বাংলার প্রত্যেকটা মানুষকে প্যাকেজের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ঋণ পেতে জটিলতার শেষ নেই।
এই টেবিল ঐ টেবিল হাঁটতে হাঁটতেই সপ্তাহ পাড় হয়ে যায়।কেননা ব্যাংক গুলোর এতশত শর্তের ভীড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ফাইল কখন যে হারিয়ে যায় তা কেউ জানেই না। জটিল শর্তের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ দিতে পারছে না দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকাররা উদ্যোক্তাদের চাহিদার কথাটি মাথায় রেখে শর্ত শিথিলের আহ্বান জানালেও প্রণোদনার অর্থ ছাড়ে ব্যাংকগুলোকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
করোনা ভাইরাসের কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটির কারণে থেমে গিয়েছিলো গোটা জাতি।
দেশের অর্থনৈতিক চাকা একেবারেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলো। পুঁজি ও টিকে থাকার সক্ষমতা কম থাকায় কোভিড-১৯ এর সবচেয়ে বড় ধাক্কা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়।
তবে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা আমরা জানি।কিন্তু এই প্রনোদনার সুফলটা যদি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে পেতো তাহলে করোনাভাইরাসের দখলটা কাটিয়ে কিছুটা মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারতো।
গেলো ঈদুল ফিতরের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র দেওয়া ২৫০০ টাকা কজনই বা পেয়েছেন?
নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধির দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে সাধ মিটে গেছে সেই উপহার দেওয়া ২৫০০ টাকার!
ঠিক তেমনি এখন দশা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেলায়। অনেক আশায় কিছুটা স্বত্বির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন যে,সরকারী প্রণোদনার সুবিধা নিয়ে কম সুদে শোধ করতে পারা যাবে।
কিন্তু দৃশ্যপট আসলেই অন্যরকম
বরং স্বপ্ন ভেঙে এখন অনেক উদ্দোক্তারাই নিঃস্ব।
এই দিকে কবে দৃষ্টি দিবে কর্তৃপক্ষ তা জানা নেই।
হয়ত শত মানুষের মাঝে এই সকল স্বপ্ন বুননের নারী উদ্দোক্তারা পিষ্ট হয়ে যাবে লোকচক্ষুর আড়ালে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট