বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশী আমেরিকানদের এগিয়ে আসতে হবে
দৈনিক সিলেট ডট কম
হাসান আলী, নিউইর্য়ক: আজকের আমার আলোচনার বিষয় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশী আমেরিকানদের ভুমিকা। পৃথিবীর মানব জাতি এক, ধর্ম এক, ধর্মীয় সেতু বন্ধনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হবে।
এই সব কাজ করতে হলে বিরাট ফান্ড ও কর্মী বাহিনী প্রয়োজন। আমেরিকায় সবই আছে, প্লান তৈরী করে কাজে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। কোরানের ভাষায় মানব জাতি এক-
( হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী হতে সৃষ্টি করেছি, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদা সম্পন্ন যে অধিক সাবধানী। আল্লাহ সব কিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন)।সূরা হুজুরাত;১৩ ।
ধর্ম এক-( এমন কোন জাতি নেই যাদের মাঝে কোন সতর্কতার দূত আগমন হয়নি, প্রত্যেক জাতির জন্য একজন রসুল (দূত) প্রেরিত হয়েছিলেন) সূরা ইউনুস ৪৭ ।
সব ধর্মের মর্ম কথা এক , স্রষ্টার এবাদত করা এবং মানবের কল্যানে কাজ করা। বর্তমানে ধর্মীয় সংঘাতের মাধ্যমে পৃথিবীতে অশান্তি বিরাজ করিতেছ। আমেরিকাতে যদি পৃথিবীর সব দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাস করতে পারে, তবে ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্টায় বাংলাদেশী আমেরিকানরা এগিয়ে আসতে হবে। আমেরিকার মিডিয়াতে অনেক সময় মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে থাকে। সন্ত্রাস সম্পর্কে কোরান (কেউ কোন নির্দোষ মানুষকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যা করল । আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল )সূরা মায়েদা ৩২ ।
ন্যায় বিচার সম্বন্ধে কোরান ( হে বিশ্বাসীগন! তোমরা ন্যায় বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্টিত থাকবে, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য দেবে, যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা এবং আত্নীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়; সে বিত্তবান হোক অথবা বিত্তহীনই হোক আল্লাহ উভয়েরই অভিবাবক।সুতরাং তোমরা ন্যায় বিচার করতে কামনার অনুগামী হয়ো না। যদি তোমরা পেচালো কথা বল অথবা পাশ কেটে চল তবে( জেনে রাখ) যে, তোমরা যা কর আল্লাহ তার খবর রাখেন।)সূরা নিসা ১৩৫।
বর্তমানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান, ভারতের মুসলমান ও চায়নার উইঘুর মুসলমানদের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে ৷
আমেরিকা তার বাজেটে ১% বিশ্বের গরীব মানুষের কল্যানে ব্যয় করে।এই ১% সমান ৪৮ বিলিয়ন ডলার। আমেরিকার বাজেট হল ৪.৮
ট্রিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী আমেরিকানরা কংগ্রেসে লবিং করে মিয়ানমার, ভারত ও চায়ানার বিরুদ্ধে আমেরিকান কংগ্রেসে ও জাতিসংঘে বানিজ্যিক অবরোধ বিল উত্থাপন করে পাশ করতে পারলে এবং জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের সহায়তায় শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো ব্যবস্হা করতে হবে ৷ অন্য দিকে মুসলিম গায়ক-গায়িকাদের নিয়ে ইউনিসেফের সহায়তায় কনসার্ট করে ফান্ড সংগ্রহ করে ঐ সব অসহায় মুসলমানদের জন্য পাঠানোর ব্যবস্হা করা । OIC মাধ্যমে বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলমানদের মিয়ানমার,ভারত ও চায়না পর্ণ্য সামগ্রী বর্জনের ডাক দিতে হবে ৷
বিশেষ করে আমেরিকায় অবস্হানরত বাংলাদেশী আমেরিকান মুসলিম সহ সকল মুসলমানদের এগিয়ে এসে এই বিষয়ে লবিং এর আবেদন জানাচ্ছি । সর্বশেষে কোরানের আরো একটি কথা দিয়ে শেষ করতে চাই, (আল্লাহ কোন সম্প্রাদায়ের অবস্হার পরিবর্তন করেন না, যতক্ষন না তারা নিজ অবস্হার নিজে পরিবর্তন করে )সূরা রাদ-১১ ।
হাসান আলী,কনভেনার গ্লোবাল ভিলেজ লিডারশীপ কমিটি ইউএসএ ৷