স্বার্থক ভালোবাসা

নুর আলম
যেদিন আমার পদচিহ্ন
ধুলোতে আকাঁ হবে না
লাইব্রেরি চত্বরে বসে হবে না
ভাবের মিলন প্রকৃতির নিয়তি ডাকবে
আমায়-
এসো না ঘরের ছেলে,
বাসা বাঁধি দূরান্তের দিগন্তে
হউক সেটা মরুভূমির বাটে
বা শীতল ছাউনির নীচে
সেদিন মনে করবে কি আমায়
বিষণ্ণ মনে- বেলা-অবেলার নির্জন প্রহরে?
সবুজের ঘাসে কৃষ্ণচূড়ার নাটে
তারার পানে চেয়ে চেয়ে-
রসিকতার ভাবখানি কি মিস করবে?
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে
তবু কষ্ট দিওনা এই মনে।
তোমার ব্যস্ত শহরের
স্বপ্নিল জীবনে
জ্ঞাতার্থে বললাম স্বপ্নের চিরকুটে
মোর সমাধি থাকবে
কাশফুলের শুভ্রতায়
সবুজ- হলদে খড়ের ঘাস ফড়িংয়ের মাঠে।
সেদিন কি যাবে স্মৃতির ফ্রেমে বাঁধানো প্রণয়ের মাজারে?
একটুখানি প্রাণজুড়াতে বা আত্মার শান্তি কামনাতে?
যাবে না-ই বা কেন!
আমার পাহাড়সম ভালবাসা
কাঁধে হাত রেখে সমুদ্র ঢেউ দেখার উল্লাস
এতটুকু দাবি কি রাখে না প্রাণের প্রিয়সী?
যদি প্রাণের ডাকে সাড়া দাও
মোর চলে আসবে
আমার কলিজার শিহাবকে নিয়ে
ফিরোজা রঙের গোলাপী ফুলের শাড়ি পড়ে-
অফিস ফেরার পথে
কিংবা প্রতি শুক্রবারে।
তাতেই খুশি আমি,
স্বার্থক হবে আমার ভালোবাসা।