আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগল আটক, অতঃপর…

দৈনিকসিলেটডেস্ক
ঢাকার ধামরাইয়ে সোমবার রাতে তরুণ-তরুণীকে এক ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে আমতা ইউনিয়ানের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে এক গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে দুই লাখ টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করা হয়।
এ সালিশি বৈঠকে বিয়ে না দেওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই তরুণী। রাত পশ্চিম নান্দেশ্বরী প্রয়াত সৈয়দ আলী পীরের দরবারে। এতে সভাপতিত্ব করেন ওই ইউপি মেম্বার মো. মোসলেম উদ্দীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাত ৯টার দিকে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দেশ্বরী সওদাগর পাড়া ঈসা পাগলার দরবারে সালিশ করা হয়। রাত ৮টার দিকে আবির হোসেনের ঘরে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়। আটকৃত আবির হোসেন (৩২) ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দেশ্বরী এলাকার সওদাগর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই মেম্বার এ সালিশি বৈঠকের আয়োজন করেন বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটককৃত আবির হোসেন ভুক্তভোগী নিকটবর্তী প্রতিবেশী। প্রায় ৭ বছর আগে ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ির পাশে বিয়ে করেন। বেশ কিছু দিন ধরে হারেজার (ছদ্মনাম) সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আরিফ। এর আগেও দুইবার আটক হয়। মান সম্মানের দিকে তাকিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু আবির হোসেন একই অপরাধ বারবার করতে থাকলে এলাকার লোকজন ওতপেতে থাকে। পরে শুক্রবার রাতে দুজনকে একঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে আবির হোসেন জানায়, আমার প্রেমিকার সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমি তাকে বিয়ে করব। অথচ মোসলেম মেম্বার জরিমানা চায় তিন লাখ টাকা। আমি এ অন্যায় দাবি মানি না মানব না। প্রয়োজনে জেল খাটব তবু কাউকে টাকা দেব না।
এ ব্যাপারে ওই তরুণী বলেন, আমাকে বিয়ে দেওয়া না হলে আত্মহত্যা করব। এর আগে লিখে যাব ওই মেম্বারসহ মাতাব্বরদের সালিশি বৈঠকের কথা।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার মোসলেম উদ্দীন বলেন, শান্তির লক্ষ্যে এ সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কেউ যদি তা না মানে তাহলে আমার কোনো কিছুই করার নেই। নিজের ভাল যদি কেউ না বোঝে তাহলে আর অন্যের মাথা ব্যথা থাকার কথা না।-যুগান্তর