মহান বিজয় দিবসে কুটির শিল্প তৈরী করলেন ইমতিয়াজ রহমান ইনু
ইমতিয়াজ রহমান ইনু
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুটির শিল্প তৈরী করেছেন সিলেট নগরী কুশিঘাট বুরহানাবাদ এলাকার বাসিন্দা আলোর ফেরিওয়ালা কুটি শিল্পী ইমতিয়াজ রহমান ইনু। এবার বিজয় দিবসে নিজের কুটি শিল্প চর্চা মাধ্যমে তুলে দরলেন রং কাটে কাগজ পেলাস্টিক বোটে। নিজের মাধুরি মাখা স্মরণ করেন তাহার শিল্প চর্চা রয়েছে “সব কয়টি জনালা খুলে দেওয়” রক্ত বিনিময়ে স্বাধীনতা “শহিদ মিনার, বাংলা কলম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুটি মঞ্জিল ১৯৭১ সালে সিলেট কীন ব্রীজ আলী আমজাদ ঘড়ি।
সকল শহিদদের স্মরণ করে ইমতিয়াজ রহমান ইনু বলেন, বলেন নতুন প্রজন্মের মাঝে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধরে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের বার্তা পৌছে দিতে হবে। বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এ উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়।১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সকল নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
কুটির শিল্প আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত। বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতি ও জীবন দর্শনের সরলতা ফুটে ওঠে এ ধরনের শিল্পকর্মে। মূলত এ শিল্পের নির্মাতা বাংলার গ্রামীণ পল্লী অঞ্চলের মানুষজন। তারা এসব পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা ও নিজেদের ব্যবহারের জন্য। কুটির শিল্পে ডিজাইন বা মোটিভে চিরাচরিত বাংলার জীবনরূপের প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। সেজন্যই গ্রামীণ জীবন, প্রকৃতি, মানুষ, পশুপাখি, লতাগুল্ম, গাছপালা, নদ-নদী, চন্দ্র-সূর্য ও আসমানের লোকজ নকশা দিয়ে ভরা নৈসর্গিক গ্রামীণ দর্শনের স্বাদ পাওয়া যায় এ শিল্পকর্মে। কুটির শিল্প অঞ্চলভেদে অনেকের কাছে হস্তশিল্প, কারুশিল্প, শৌখিন শিল্প, গ্রামীণ শিল্প হিসেবেও পরিচিত। স্থানীয় চাহিদার পাশাপাশি শহরের অভিজাত, মধ্যবিত্তদের মধ্যেও কুটির শিল্পের আলাদা আবেদন রয়েছে, যা তৈরি করেছে বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের ক্ষেত্র।
এছাড়া কুটির শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণে দেশীয় হস্তনির্মিত পণ্যের পরিচিতি ও রফতানির সম্ভাবনা রয়ে গেছে। যদিও আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশে শিল্প খাতে পুঁজিঘন এবং শ্রমসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে কুটির শিল্পকে কিছু বেগ পেতে হচ্ছে, তবে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে এ শিল্পে কাজ করা হলে ভবিষ্যৎ অবশ্যই সম্ভাবনাময়।