মাধবপুরে হলুদ চাষে বাম্পার ফলনে খুশি তানভীর
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধি
প্রথমবার হলুদ চাষ করেই বাজিমাত করেছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কৃষক তানভীর মিয়া। তার সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও উৎসাহিত হচ্ছেন হলুদ চাষে। উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের তেলিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক তানভীর উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এলাকায় প্রথমবারের মতো হলুদ চাষ করেন।সরজমিনে তার ফসলের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সে লোকজন নিয়ে হলুদ তোলায় ব্যস্ত।
কৃষক তানভীর মিয়া জানান, এই এলাকায় এর আগে কেউ বানিজ্যিক ভাবে হলুদ চাষ করেনি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাপস চন্দ্র দেব ও মোহন লাল নন্দী তাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন এই এলাকার মাটি হলুদ চাষের উপযোগী। এখানে হলুদ চাষাবাদ করলে লাভবান হবে বলে উৎসাহিত করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার, কীটনাশক ও বীজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে তারা। এক বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দশ হাজার টাকা। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন আশি মন হলুদ পাওয়া যাবে। কমপক্ষে দুই লাখ টাকা লাভ হবে তার।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহন লাল নন্দী জানান, এই প্রথম হলুদ চাষাবাদ করেছেন কৃষক তানভীর মিয়া। তার সাফল্য দেখে এখন অনেকেই যোগাযোগ করছেন হলুদ চাষাবাদ করার জন্য।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার জানান, আদা ও হলুদ একটি লাভজনক মসলা জাতীয় ফসল। বর্তমানে মাধবপুর উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে যেসব জায়গায় সাময়িক পতিত থাকে সেই সব জমি ও ছায়াযুক্ত স্থানে হলুদের আবাদ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় আদা ও হলুদ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মসলা জাতীয় ফসলের চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষক পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ও ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় আদা ও হলুদ ফসলের বিভিন্ন প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও বস্তায় ও সাথী ফসল হিসেবে মসলা জাতীয় ফসল আবাদ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং ব্লক পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করছেন। দিন দিন মসলা জাতীয় ফসল আবাদ করতে তরুণ উদ্যোক্তারা আগ্রহী হচ্ছে।