কোম্পানীগঞ্জে সমবায় অফিসে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
মো. শরীফ আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসের কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে একই কর্মস্থলে বছরের পর বছরের কর্মরত থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন ও সিলেট বিভাগীয় সমবায় অধিদপ্তর ভুক্তভোগী এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা উল্লেখ্য করে অভিযোগ দেন।
অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের যোগসাজশে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোঃ সাইফুল ইসলাম উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১২-১৪ বছর যাবৎ একই কর্মস্থলে কর্মরত থাকায় এলাকা ভিত্তিক সমবায় সমিতি তৈরি করতে গিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করে ফেলায় তাঁর মর্জি মোতাবেক সমবায় সমিতি পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছেন। অফিস সহকারীর অপকর্মের সাথে উপজেলা সমবায় অফিসার মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জড়িত আছেন। সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও অডিট আপত্তির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা যৌথভাবে আদায় করে যাচ্ছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় নতুন একটি সমবায় সমিতি নিবন্ধন করতে যেখানে সরকারি ফি ৫৪৫/- (পাঁচশত পয়তাল্লিশ) টাকা সেখানে ষাট-সত্তর হাজার টাকা ছাড়া নিবন্ধন করেন না। তাছাড়া সিডিডিনি প্রকল্পের গ্রামকর্মীর মাসিক ভাতা ১৫০০ টাকা হলেও এখানে প্রতি কর্মী থেকে পাঁচ শত টাকা অফিস খরচের নাম করে প্রতি হাসে রেখে দেন। বিভিন্ন এলাকায় পুরাতন সমিতি অডিট করতে গেলে অডিট খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা করে অর্থ আদায় করেন। সমবায় সমিতির গরীব লোকজন সমিতি বাতিল হওয়ার ভয়ে মুখ বন্ধ রেখে দিনের পর দিন সহ্য করে আসতেছে ও টাকা দিয়ে সমিতি সচল রাখছে। আর্থিক চাহিদা পূরণ না করলে কোন সমিতি সহজে অডিট করতে পারে না এমনকি জলমহাল টেন্ডার নিতে পারেন না। এরকম আতঙ্কিত পরিবেশে সমিতির সাধারণ মানুষ অফিস কর্তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে গত বছর অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলায় বদলী করেছিল তবুও কোম্পানীগঞ্জে অফিসে ডরমিটরিতে থেকে আবার বছরান্তে পূনয়ায় বদলী নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ফিরে আসে। তাই জনমনে ভয়, তাঁর কারণে সামাজিক এলাকায় দলাদলি সৃষ্টি হচ্ছে এমনকি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সমিতির লোকজন নিয়ে এমন সব পরিকল্পনা করে যাচ্ছে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হুমকিতে ফেলতে পারে এবং দীর্ঘদিনের সামাজিক বন্ধন ও সৌহার্দ্য বিনষ্ট হতে পারে। তাই উপজেলার নাগরিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা সমবায় অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জানান, অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম টানা দশ বছর কোম্পানীগঞ্জে কর্মরত ছিলেন মাঝে ১ বছর অন্য উপজেলায় কর্মরত থেকে আবারও কোম্পানীগঞ্জে এসেছেন। তাঁর দুর্নীতি বা অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো তুলা হয়েছে এগুলোর সত্যতা নাই।