ঝুঁকির মুখে পুরো ব্রিজ, দুই বছরেও পুনঃনির্মাণ হয়নি
মোঃ সুমন আহমেদ, দোয়ারাবাজার
ছাতক থেকে জেলা শহর সুনামগঞ্জে যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি বিগত দুই বছর থেকে ব্রিজের মুখে বড় গর্ত থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে, যেন দেখার কেউ নেই! জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই জেলা শহরে যাতায়াত করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।কিন্তু এই গর্তের মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের চৌমুনা পয়েন্টের পাশে অবস্থিত এই ব্রিজ, ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি বিগত দুই বছর আগে ব্রিজের মুখে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু সংস্কার না করায় দিরে দিরে ছোট গর্তটি বড় আকার ধারন করেছে। অবহেলিত থাকা গর্তে বাশের খুটি খাড়া করে এলাকাবাসীর পক্ষে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও এনিয়ে চলছে লেখালেখি। ওই ব্রিজের দুই পার্শ্বে বড় একটি খাল রয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে সড়কটির মাটি সরে গিয়ে ব্রিজের নিম্নাঞ্চলে ফাটল ধরায় ব্রিজের মুখে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানচলাচলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী, দ্রুত সময়ের মাধ্যমে ব্রিজটি মেরামত করা জরুরি, পথচারী এবং যানবাহন দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবে
সিএনজি চালক সেন্টু দাস বলেন, প্রতিদিন এই সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। এক প্রান্ত থেকে গাড়ী নিয়ে আসলে অপর প্রান্তের গাড়ী পারাপারে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতের বেলা পারাপারে খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। গত কিছুদিন আগে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পরে যায়।
স্থানীয় বুরহান উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ জেলা ও উপজেলায় যাতায়াত করেন দির্ঘদিন থেকে ব্রিজের এপ্রোচ ও মুখে গর্ত সৃষ্টি হওয়াতে বিপাকে পরতে হয়েছে যানবাহন চালকদের প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে দ্রুত মেরামত না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করা যাচ্ছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হামিদ বলেন উপরমহল থেকে তথ্য চাওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্পে তথ্য দেওয়া হয়েছে আসা করছি দ্রুত সংস্কার হবে